parbattanews

চকরিয়ায় প্রকৃত ভিক্ষুক ২৮৬ : পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন

কক্সবাজার জেলার আটটি উপজেলার মধ্যে অন্যতম বড় উপজেলা চকরিয়া। এই উপজেলায় প্রায় ৬ লাখ জনসংখ্যা রয়েছে। খাদ্য উদ্বৃত্ত এই উপজেলার পশ্চিমে সমুদ্র উপকুল, পূর্ব পাশে পাহাড় আর মাঝ পয়েন্টে সমতল ভূমির সংমিশ্রনে বৈচিত্র্যময় পরিবেশ নিয়ে এই চকরিয়া। কোন কিছুর অভাব না থাকলেও বাণিজ্যিক এলাকাসহ পাড়া-গাঁয়ের প্রতিদিনই ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন।

প্রতিদিন উপজেলার প্রতিটি অঞ্চলে দোকান বা বাড়িতে গড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন নারী-পুরুষ ভিক্ষা পেশায় নিয়োজিত থাকতে যায়। ওই ভিক্ষুক সচল-অচল যাই হোকনা কেন হাত বাড়ালেই ভিক্ষা দেয় ব্যবসায়ী ও গৃহস্থালি সদস্যরা।

বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারাবাহিক ক্ষমতায় থাকার সুবাদে বিশ্ব দরবারে নজর কেড়েছেন। উন্নয়ন, আইসিটি খাত, বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলাসহ বেশ কয়েকটি খাতে যোগ্যতার প্রমান দিয়ে শেখ হাসিনা এখন বিশ্ব আইডল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যেতে নানা প্রকল্প নিয়ে মাঠে নেমেছেন। তন্মধ্যে দারিদ্রমুক্তি একটি অন্যতম খাত। সে খাতকে বাস্তবে রুপ দিতে দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করার উদ্যাগ নেয়া হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার চকরিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের নেতৃত্বে ভিক্ষুকের তালিকা সংগ্রহ করে পূনর্বাসনের জন্য প্রকৃত ভিক্ষুক যাচাই করে তালিকাভুক্ত কর হয়েছে। গত ২৪ ডিসেম্বর উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ভিক্ষুক যাছাই বাছাই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.মাসুদুর রহমান মোল্লা।

চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ১টি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নের প্রাপ্ত ভিক্ষুকের সংখ্যা ৭১৫জন। এই ৭১৫জনকে মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভিক্ষুক হিসেবে তালিকায় আনা হয়েছে ২৮৬জনকে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় হত দরিদ্র বেশ ক’টি পরিবার সরকারি নানা সুবিধা পাওয়া সত্বেও ভিক্ষা থেকে নিজেদের নিভৃত্ত করছেনা। আবার অনেকেই জমি কেনা ও ইমারত নির্মাণের পাশাপাশি সন্তানদেরও স্বাবলম্বী করেছে। তবুও তারা পুরনো অভ্যাস ছাড়ছেনা। বর্তমানে স্থানীয় ভিক্ষুকের সাথে যোগ হয়েছে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা ভিক্ষুকও। তবে রোহিঙ্গা ভিক্ষুকের সংখ্যা কত তা জানা যায়নি।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, বাদ পড়া ভিক্ষুকরা কোন না কোনভাবে স্বাবলম্বী হলেও বদঅভ্যাস ত্যাগ করতে না পারায় ভিক্ষা করেই যাচ্ছে। এখন থেকে কেউ যাতে ভিক্ষা না করে সে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি ভিক্ষা না দিতেও সচেতনতা গড়ে তোলা হবে।

Exit mobile version