parbattanews

চকরিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার “নতুন ঘর’ পাচ্ছে ৩৬ ভূমিহীন পরিবার

দরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের বিশেষ নির্দেশনার আলোকে জেলা প্রশাসনের এক নম্বর খাস খতিয়ানের অধীন চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে যুগের পর যুগ ধরে বেদখলে থাকা সরকারি খাসজমিতে ভূমিহীন পরিবারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন ঘর। ভূমিহীন পরিবারের জন্য ঘর করতে সরকারি জমি উদ্ধারে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. তানভীর হোসেনের সমন্বয়ে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে গত দুইমাসে অন্তত ১৫একর ৬০শতক সরকারি খাসজমি উদ্ধার করেছেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ।  তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী তথা মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রথমপর্যায়ে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ভূমিহীন ৩৬টি পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উপহার নতুন ঘর দেয়া হচ্ছে। আর এসব পরিবারকে নতুন ঘর তৈরি করে দিতে জেলা প্রশাসনের এক নম্বর খাস খতিয়ানের অধীনে বেদখলে থাকা সরকারি খাসজমি উদ্ধারে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। তার নির্দেশনার আলোকে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে অন্তত কয়েক কোটি টাকার খাসজমি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।

ইউএনও সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, বর্তমানে উদ্ধার হওয়া খাসজমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে প্রথমপর্যায়ে উপকারভোগী নির্বাচিত ভূমিহীন ৩৬টি পরিবারের জন্য নতুন ঘর। পরবর্তীতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে মোট ১৮০টি ভুমিহীন পরিবারকে দেওয়া হবে নতুনঘর। ইতোমধ্যে প্রকৃত ভূমিহীন যাছাই-বাছাই শেষে এ সংক্রান্ত একটি তালিকাও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থবরাদ্দের আলোকে বর্তমানে উপজেলায় প্রথমধাপে নতুন ঘর পাচ্ছেন ৩৬ ভূমিহীন পরিবার। পরবর্তীতে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে ঘর পাবেন ১০টি করে পরিবার। প্রতিটি ঘর নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। মাটি ভরাটের কোন বরাদ্দ না থাকলেও সেটি করে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরে থাকছে ২টি রুম, একটি বারান্দা, একটি কিচেন, একটি ওয়াশরুম ও একটি বেসিন।

চকরিয়া উপজেলার ভুমিহীন এসব পরিবারের জন্য নতুন ঘর নির্মাণের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। তারই দিকনির্দেশনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি জনপদে ছুটে যাচ্ছেন। যেসব ইউনিয়নে খাসজমি আছে, কিন্তু অবৈধভাবে দখলে আছে অন্যজন। সেসব এলাকায় জটিলতা কাটিয়ে জমি উদ্ধারপুর্বক সেই জমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার নতুন ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন।

Exit mobile version