parbattanews

চকরিয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দেয়ায় দুই সন্তানের লেখাপড়া বন্ধ

চকরিয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগকারী দুই সন্তানকে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করছে না অভিযুক্ত শিক্ষক।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সোমবার(২১ জানুয়ারি) চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ফের লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বাবা মো. জুনাইদুল হক।

সাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা জুনাইদুল হক অভিযোগ করেন, বিগত সময়ে সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ সরকারি বিধি বহির্ভূত ও নিয়োগের পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের অর্থ-আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি বাদী হয়ে চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম, জেলা শিক্ষা অফিসার, কক্সবাজারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে তিনি বিদ্যালয়ের অন্তত ৪৫লাখ টাকা আত্মসাতের কথা বলেন। বর্তমানে অভিযোগটির তদন্ত চলমান রয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করার জেরে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া অভিযোগকারীর দুই সন্তানের মধ্যে একজনকে ৬ষ্ঠ হতে ৭ম শ্রেণী, আরেকজন ৮ম শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীকে পাঠদানের সুযোগ দিচ্ছে না। এমনকি নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করছে না।

অভিযোগকারী জুনাইদুল হক বলেন, বছরের প্রথমদিন দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সরকার পাঠ্যবই পৌঁছে দিয়েছেন এবং বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। চকরিয়া উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ পরবর্তী পাঠদান শুরু হলেও  সাহারবিল বিএমএস উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের বাদী হওয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে ২জন সন্তানকে ভর্তি করছে না।

অভিভাবক জুনাইদুল হক বলেন, সর্বশেষ গত ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়ে একাধিকবার ধর্ণা দিয়েছেন কিন্তু ভর্তিও করাননি, নতুন বইও দেননি। তিনি পূর্বে কমিটি গঠনে অনিয়ম নিয়েও এলাকাবাসীর স্বার্থে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, বিদ্যালয়ের অভিভাবক জুনাইদুলের হকের দুই সন্তানকে ভর্তি না করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগটি পেয়েছেন। তা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজারকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

Exit mobile version