parbattanews

চকরিয়ায় বসতঘরে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা ডাকাতি, গৃহবধুসহ আহত-৩

চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে দুই প্রবাসী পরিবারের বসতঘরে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদল ওই বসতঘর থেকে লুটে নিয়ে গেছে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মুঠোফোন, কম্বল ও দুটি পাসপোর্ট।

স্বশস্ত্র ডাকাতদলের প্রহারে কাতার প্রবাসী আমিনুল হক, দুবাই প্রবাসী ছৈয়দুল হক ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার আহত হয়েছেন। তারা চকরিয়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সোমবার  (২০ জানুয়ারি)দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ১০-১২জন স্বশস্ত্র ডাকাতদল কাতার প্রবাসী আমিনুল হক ও দুবাই প্রবাসী ছৈয়দুল হকের বসতঘরে হানা দেয়। এসময় বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পরিবারের সদস্যদের। পরে আলমিরা ভেঙে চার ভরি স্বর্ণ, আড়াই লাখ টাকা, পাঁচটি মুঠোফোন সেট, চারটি কম্বল ও দুটি পাসপোর্ট লুট করে ডাকাতদল। ডাকাতি শেষে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে। এসময় রাস্তা থেকে পুলিশ ব্যবহৃত গুলির একটি খোসা উদ্ধার করেছে।

প্রবাসী ছৈয়দুল হক বলেন, ‘আমরা দুই ভাই কিছুদিন আগে ছুটিতে দেশে এসেছি। ডাকাতেরা আর্থিকভাবে পঙ্গু করতে আমার বাড়িতে হানা দিয়েছে। স্বর্ণ, টাকা, মুঠোফোন, কম্বল, পাসপোর্ট সব লুট করেছে। ডাকাতদলের পায়ে পড়লেও তাঁরা পাসপোর্ট দুটি ফেরত দেয়নি। এসময় ডাকাত সদস্যরা মারধর শুরু করেন। পরে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে এলাকা ত্যাগ করে।’

কাতার প্রবাসী আমিনুল হক বলেন, আমাদের বাড়ি পশ্চিম পার্শ্বে দীর্ঘ দিনের ভোগ দখলীয় ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ১৮ শতক জমি রয়েছে। ওই জমি গত দুই বছর আগে লীজ নেয়ার পর গত কয়েকদিন পূর্বে সেখানে বাড়ি নির্মানের জন্য মাটি ভরাট করলে পার্শ্ববর্তী শফিকুর রহমানের ছেলে নাছির উদ্দিন ও নেজাম উদ্দিন এবং নুর মোহাম্মদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ দু’পক্ষকে ডেকে বিরোধীয় জায়গায় না যাওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রবাসী আমিনুল হক অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষ নাছির উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন ও নুর মোহাম্মদ আমাদের ভোগ দখলীয় ও লীজ নেয়া জমি অবৈধভাবে দখলে নিতে না পেরে ভাড়াটিয়া ডাকাতদল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ডাকাতি সংগঠিত করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়।ডাকাতদল মুখোশ পরিহিত থাকলেও তাদের কন্ঠস্বর শব্দ শুনে তারেক, মুস্তাফিজ, নেজাম ও মোস্তাফা নামের চারজনকে চিনতে পেরেছেন বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার চকরিয়া থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন বলেও জানায় প্রবাসী আমিনুল হক।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাটি ডাকাতি না কী ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাজানো হয়েছে তা তদন্ত চলছে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version