parbattanews

চকরিয়ায় সড়কে বালুর স্তুপ: যাতায়তে দুর্ভোগ

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে ছড়াখাল থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন করে চলাচল সড়কে বালির স্তুপে পরিণত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যাতাোত। ওই সড়ক দিয়ে নিত্যদিন যাতায়াত করে আসছে ৫গ্রামের কয়েক হাজার জনগোষ্ঠী।

এ ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করার দায়ে ও পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি কিছু মানুষের জায়গা-জমি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নস্থ এক শ্রেণীর ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালীরা প্রশাসনের আইনকে তোয়াক্কা না করে দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে শান্তিরঘাট ডুলাহারছড়া খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ছড়াখালে বসানো হয়েছে অবৈধ ড্রেজিং(সেলো)মেশিন।

যাতায়াতরত সড়কের উপরে বালি স্তুপ করে রাখার কারণে ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ইউনিয়নের ৫গ্রামের মধ্যে শান্তিরঘাট, উলুবনিয়া, কাটাখালী, পূর্বডুমখালী, রিজার্ভ পাড়া এলাকার কয়েক হাজার জনগোষ্ঠী।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ডুলাহাজারা ইউনিয়স্থ শান্তিরঘাটের ডুলাহারছড়া খাল থেকে এক শ্রেণীর প্রভাবশালীরা সরকারি নিয়মনীতির বাহিরে ও ইজারা বহির্ভূত ভাবে দিব্যি চালিয়ে যাচ্চে অবৈধ বালি উত্তোলন। ছড়াখাল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে নাকি একসময়ের উলুবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমান শান্তিরঘাট এলাকার মৃত হাফেজ আহমদের ছেলে ছাবের আহমদ। বর্ণিত ডুলাহারছড়া খাল সংলগ্ন এলাকায় বালি উত্তোলনের ফলে একটি বসতভিটে ওই বালির স্তুপে পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এছাড়াও অপর আরও একটি বসতঘরের তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করার কারণে পানির স্রোতে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করেছে স্থানীয়রা।

পার্শ্ববর্তী পূর্বডুমখালী এলাকার মৌলানা ফজল আহমদ নামক এক ব্যক্তি অভিযোগে জানান, ডুলাহারছড়া খালের সাথে সংযুক্ত তার বিএস খতিয়ানের দুই দাগের জমি রয়েছে। ইতোমধ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় তার জমি সীমানার পাড় ভেঙ্গে প্রায় দশ শতক জমি খালের সাথে বিলিন হয়ে গেছে বলে জানায়। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে জমি সংলগ্ন জায়গা খালে ভাঙ্গতে থাকায় বালি উত্তোলনে জড়িত ছাবেরকে নিষেধ করলে উল্টো তাকে অকথ্য ভাষায় উচ্চবাচ্য ও হুমকি প্রদর্শন করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। সরকারি নীতিমালা ২০১০ সালের বালুমহাল আইনে সুস্পষ্ট বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবেনা। এ ছাড়া সেতু, কালভার্ট, ড্যাম, ব্যারাজ, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, বন, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

অভিযুক্ত ছাবের আহমদ বলেন, তার নিজের নামে বালি উত্তোলনের কোন ইজারা নেই। স্থানীয় যারা বালি উত্তোলনের ইজারা নিয়েছে তাদের সাথে সে চুক্তি করে বালু উত্তোলন করছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান জানান, বিষয়টি এসিল্যান্ড সাহেবকে জানিয়ে দিচ্ছি। কেউ যদি ছড়া খাল থেকে ডেজার বা সেলো মেশিন বসিয়ে অবৈধ বালি উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version