parbattanews

চকরিয়ায় বৈশাখী ঝড়ের ছোবলে লবণ-বোরো ও সবজির চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় আগাম টানা বৃষ্টিতে লবণ, বোরো ও সবজি চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির জন্য মৌসুমের একমাস আগেই বন্ধ হয়ে গেছে লবণ উৎপাদন। নিচু জমি ও ডোবায় পানি জমে থাকার কারণে পাকা বোরো ধান ঘরে তুলতে পারছেনা কৃষকরা। পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টিতে। কালবৈশাখী বৃষ্টির সাথে হালকা ও মাঝারি দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় ঘটেছে উপজেলায়। টানা দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের আট উপজেলায় ৬১ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হয়। তিন মাস টানা লবণ উৎপাদন করে কৃষকরা। চৈতালী হালকা বৃষ্টিতে লবণ উৎপাদন আরও বেড়ে যায়। কিন্তু বৈশাখে হঠাৎ ভারী টানা বর্ষণ শুরু হলে বিপাকে পড়ে যায় লবণ চাষীরা।

এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় চকরিয়া ও পেকুয়ার লবণ চাষীরা। এ দু’উপজেলায় বুধবার দিবাগত রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। ফলে, লবণ মৌসুম শেষ হওয়ার একমাস আগেই লবণ উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয় চাষীরা। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করতে পারেনি বিসিক।

এদিকে, চলতি শুষ্ক মৌসুমে চকরিয়া-পেকুয়ার ৬০ হাজার একরের অধিক জমিতে বোরো চাষবাদ হয়। কিছু কিছু এলাকায় ক্ষেতের ধান ঘরে তোলা হলেও সিংহভাগ জমিতে এখনো পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়নি। বিশেষ করে নিচু জমি ও ডোবায় পাকা ধান কাটার আগ মুহুর্তে কালবৈশাখী টানা বর্ষণে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি না থামলে ওই ধান ঘরে তোলা সম্ভব হবেনা। এতে শত শত কৃষক পরিবারকে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।

অন্যদিকে যে সব উচু জমিতে বেগুন, চিচিংগা, তিতকাকরল, বরবটি, মরিচসহ নানা জাতের সবজি চাষাবাদ করে কৃষকরা যখন কিছুটা লাভের মুখ দেখছিল ঠিক ওই সময় বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সবজি ক্ষেত। এতে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো কৃষক পরিবারে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হঠাৎ করে কালবৈশাখী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় কোথায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তাৎক্ষণিক তার হিসাব-নিকাশ করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি বন্ধ হলেই প্রত্যেক ইউনিয়ন পর্যায়ের সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version