parbattanews

চকরিয়ায় ভিটিজিংয়ের অভিযোগ দেয়ায় বখাটের হামলা: আহত-৩

চকরিয়ায় ভিটিজিংয়ের ঘটনায় অভিযোগ দেয়ায় উল্টো বখাটের হামলায় মা ও মেয়েসহ তিনজন আহত হয়েছে।  শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন, হারবাং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকার ছিদ্দিক আহামদের ছেলে জহির আহামদ (৪২), জহির আহামদের স্ত্রী হুমাইরা বেগম (৩২) ও তার মেয়ে জন্নাতুন নাঈম (২০)। তাদেরকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত হয়ে জন্নাতুন নাঈম বলেন, কয়েকদিন আগে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া থেকে নার্গিছ ও রেশমী নামের দুই নিকটআত্মীয় আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা চলে যাওয়ার সময় আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুদুর এগিয়ে দিতে গেলে স্থানীয় শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে সাইফুল ও জহির আহামদের ছেলে পিয়ারু আমাদের গতিরোধ করে।

এক পর্যায়ে বখাটেরা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে আমার নিকট আত্মীয় নার্গিছ ও রেশমীকে তুলে নিতে চাইলে আমরা সবাই একযুগে চিৎকার শুরু করি। তখন আমাদের চিৎকার শোনে আশপাশ এলাকা থেকে লোকজন এগিয়ে এলে বখটেরা কৌশলে গা ঢাকা দেয়। পরদিন শুক্রবার সকালে আমার পিতা জহির আহামদ বিষয়টি স্থানীয় হারবাং পুলিশ ফাঁড়িকে মৌখিকভাবে জানান।

আহত জন্নাতুন নাঈম আরও বলেন, শুক্রবার বিকালে আমার বাবা বাড়ি থেকে বের হয়ে হারবাং স্টেশনের দিকে যাওয়ার সময় অভিযুক্ত সাইফুল ও পিয়ারুর নেতৃত্বে ৫-৬ জন বখাটে আমার বাবাকে গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এসময় তার শোর চিৎকারে আমি ও আমার মা এগিয়ে এলে বখাটেরা আমাদেরকেও পিটিয়ে জিন্মি করে রাখে।

পরে ঘটনাটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি চৌকিদার পাঠিয়ে আমাদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করেন। স্থাণীয় হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান আহত জন্নাতুন নাঈম।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হবিবুর রহমান বলেন, হারবাং ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকায় মারধর সংক্রান্ত কোন অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Exit mobile version