১৩ পরিবারকে এমপি, চেয়ারম্যান বাবলা ও প্রশাসনের অনুদান

চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৩টি বসতঘর পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে ১৩টি পরিবারের বসতঘর। এতে অগ্নিকাণ্ডে ওইসব পরিবারের বসতঘরে থাকা ধান-চাল, আসবাবপত্র, নগদটাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ সবকিছু পুড়ে নি:স্ব হয় যায়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এদিকে, অগ্নিকাণ্ডে বসতঘর পুড়ে যাওয়ার খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম, ইউএনও জেপি দেওয়ান, মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু মুছা, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারসহ স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপনের কথা চিন্তা করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুদান নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম। তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। এসময় মাতামুহুরি সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলাও মানবিক সহায়তা হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে নগদ ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন।

এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে ক্ষতিগ্রস্ত তেরটি পরিবারকে অনুদান হিসেবে প্রাথমিকভাবে ২ বস্তা চাউল ও ২টি করে কম্বল দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকালের দিকে উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নস্থ পুরিত্যাখালী এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনাটি ঘটে।

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয় এলাকার লোকজন জানিয়েছে। তবে কি পরিমাণ তাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।

কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত চকরিয়া ও পেকুয়া ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর ২টি ইউনিটকে খবর দেয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহয়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা না গেলে অগ্নিকাণ্ডে আশপাশের আরো বেশকিছু বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যেতো। আগুনে পুড়ে যাওয়া তেরটি পরিবারের অন্তত কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে বরাদ্দের জন্য পাঠানো হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যমকর্মীরা আমাকে অবহিত করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে চাউল ও কম্বল তুলে দেয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঘর নির্মাণে কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসনের অনুদান পাওয়ার সাথে সাথে তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কাছে প্রদান করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আগুন, চকরিয়া
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন