চকরিয়ায় গাড়ি উল্টে পুকুরে ডুবে শিশুসহ ৭জন নিহত : আহত ৪

fec-image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় বাঁশখালী অভিমুখী যাত্রীবাহী একটি নোহা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে পুকুরে ডুবে শিশুসহ ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ৪জন যাত্রী আহত হয়। তন্মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

রবিবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালীস্থ ভেন্ডিবাজার সংলগ্ন গ্রিন ভ্যালি কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ৩নং ওয়ার্ডের মাতবরপাড়ার মো. ইসমাইলের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৫), কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়ার শংকর রুদ্রের স্ত্রী রুনা রুদ্র (৬০), তার পুত্রবধু প্রদীপ রুদ্রের স্ত্রী পূর্নিমা (৩০), তার ছোট্ট ছেলে সার্থক (৪), চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার রাম মাস্টারের ছেলে রতন বিজয় (৫০), রতন বিজয়ের স্ত্রী মধুমিতা (৪৫)। নিহত অজ্ঞাত (২৩) এক মহিলার পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

এঘটনায় আহতরা হলেন, কক্সবাজার ঘোনারপাড়া এলাকার মৃত শংকর রুদ্রের ছেলে প্রদী রুদ্র (৪৭), তার মেয়ে শ্যামলী রুদ্র (৮), মানিকগঞ্জ জেলার বাবর আলী (১৮)। আহতের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করে করায় তাৎক্ষনিক ভাবে তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। হতাহতরা সবাই নোহা গাড়ির যাত্রী ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকালে কক্সবাজার থেকে যাত্রীবাহী একটি নোহা গাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে ভেন্ডিবাজার সংলগ্ন গ্রিন ভ্যালি কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এসে পৌঁছলে এক পথচারী মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে মাইক্রোবাসটি একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা খেয়ে মাইক্রোবাসটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। পুকুরে পড়ে নোহায় থাকা সাতজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। পুকুরের পানিতে ডুবে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী, একজন পুরুষ ও এক শিশু রয়েছে। সেখানে একই পরিবারের রয়েছে তিনজন ও আরেকটি পরিবারের স্বামী-স্ত্রী দুইজন । এই ঘটনায় আরো চারজন আহত হয়েছে। তারা সবাই কক্সবাজার থেকে বাঁশখালী যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহ ফাহিম আহমাদ ফয়সাল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চমেক প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

মহাসড়কের চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তৎমধ্যে ৬জনের মরদেহ তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একজন লাশের এখনো কোন স্বজন পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে। ওই গাড়ির চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় দুর্ঘটনা আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন