চকরিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়িতে হামলায় পুলিশের ১০ সদস্য প্রত্যাহার

fec-image

কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙালীর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ছিকলঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলার ঘটনাটি ঘটে। এদিকে এ ঘটনায় ওইদিন রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন অফিস আদেশের মাধ্যমে অভিযুক্ত এসব পুলিশ সদস্যকে চকরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে ন্যস্ত করেছেন।

প্রত্যাহারকৃত পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন চকরিয়া থানার এসআই কামরুল ইসলাস, এসআই মিজান, এসআই তুষ্ট লাল বিশ্বাস, এএসআই জেড রহমান ও ৬ জন কনস্টেবল।

অপরদিকে ঘটনার প্রকৃত কারণ উৎঘাটনে জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলামকে এক সদস্য বিশিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ সুপার। তিনি গতকাল থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাগর নামের একটি আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চালাতে গেলে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ঢুকে হামলা-ভাংচুরে জড়িয়ে পড়েন চকরিয়া থানা পুলিশের একটিদল।

ওই সময় হামলার ঘটনায় প্রায়ত মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ও লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নেচারা বেগম (৬২), পুত্রবধূ চকরিয়া মহিলা কলেজের প্রভাষক ফরিদা ইয়াসমিন (২৮), মোরশেদুল আলম শিফাত (২৮), তার স্ত্রী সাবানুর শাভা (১৯), পুত্রবধূ শাহানা আক্তার শানু (৩২ ), পুত্রবধূ ফাতেমা ইয়াসমিন, হাসান আবুল কাশেম, নাতি আরশেনুল করিম সোহা (৯) ও নাতনি আনোয়ার মোস্তাফিজ (১৪)সহ ৮জন কমবেশি আহত হন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশদল একজন আসামিকে গ্রেফতারে অভিযানে গিয়ে ভুলবশত মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। তবে ‘পুরো ঘটনাটির ব্যাপারে ডিপার্টমেন্টাল তদন্ত শুরু হয়েছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কাজী মো. মতিউল ইসলাম বলেন, শুক্রবার (৬ মার্চ) সকালে ও আগেরদিন দুইদফা মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে।

ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত চকরিয়া থানার এসআই ও এএসআইসহ পুলিশের ১০ সদস্যকে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের পর দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চকরিয়া, প্রত্যাহার, মুক্তিযোদ্ধা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন