parbattanews

চকরিয়ায় মৎস্য বিভাগের বিশেষ কম্বিং অপারেশন : ১২টি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেণা মৎস্য দপ্তরের বিশেষ কম্বিং অপারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়েছে। কম্বিং অপারেশনের শুরুতে নিষিদ্ধ বেহুন্দি জালসহ বিভিন্ন রকমের ১২টি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন চকরিয়া উপজেলা মৎস বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্থ রিংভং ফিশারীঘাটে জব্দকৃত এসব নিষিদ্ধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

উল্লেখ্য, মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী বেহুন্দি ও অন্যান্য ক্ষতিকর অবৈধ জাল নির্মূলে, চকরিয়া উপজেলা মৎস্য বিভাগের বিশেষ কম্বিং অপারেশন-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষে গত শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে জেলেদের অবগতি ও জ্ঞাতার্থে সর্তকীকরণ মূলক মাইকিং করা হয়।

বিশেষ কম্বিং অপারেশন সতর্কীকরণমূলক মাইকিংয়ের মাধ্যমে জেলেদেরকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, প্রথম ধাপ আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় ধাপ ২৫ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১৫ দিন মৎস্য দপ্তরের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হবে।

বিশেষ কম্বিং অপারেশনের অপরাধ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহের মধ্যে বেহুন্দি, খুঁটি জালের ব্যবহার সর্বোচ্চ জোয়ারে ১০ মিটার বা প্রায় ৩৩ ফুট গভীর জলাশয়ে সারা বছর নিষিদ্ধ।১০মিটার অপেক্ষা গভীর সমুদ্রে ব্যবহৃত বেহুন্দি, খুঁটি জালের ফাঁস ৪.৫ সে.মি. অপেক্ষা বড় হতে হবে। যেকোন ফাঁসের কারেন্ট জালের ব্যবহার সারা বছর নিষিদ্ধ। এছাড়াও যেকোন ধরণের টানা জাল, বেড়া জাল, মশারি জাল, চট জাল, কাঁথা জালের ব্যবহার সারা বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

সতর্ককীকরণ মাইকিংয়ের সত্যতা স্বীকার করে চকরিয়া উপজেলার মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী জুনিয়র অফিসার সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা উপজেলা মৎস দপ্তর কর্তৃক ১৪ জানুয়ারি মালুমঘাট ফিশারীঘাট সংলগ্ন খালে অভিযান চালিয়ে সরকারীভাবে নিষিদ্ধ বিভিন্ন ধরণের ১২টি জাল জব্দ করা হয়েছে। পরে জব্দকৃত জাল সমূহ পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ইতিপূর্বে জেলেদের অবগতির জন্য আমরা প্রচারণা চালিয়ে সতর্ক করে দিয়েছি। বেশকিছু অসাধু জেলে সরকারি আদেশ অমান্য করে যেসব জেলেরা জাল বসিয়ে মাছ আহরণ করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জাল গুলো জব্দ করে পুড়ানো হয়েছে। মৎস্য দপ্তরের এ অভিযান নির্দিষ্ট সময় মত চলমান থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেনজির আহমদ, নৌ-পুলিশের এসআই মো. আরমানসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ও মৎস্য অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীগণ।

Exit mobile version