parbattanews

চকরিয়ায় স্ত্রীকে মারধর ও স্বামীর সহপাঠী কর্তৃক গণধর্ষণের অভিযোগ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরেই দ্বিতীয় স্বামীর যোগসাজশে স্ত্রীকে মারধর ও স্বামীর সহপাঠী কর্তৃক গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার হারবাং-বরইতলীর সীমান্তে ছড়া ব্রিজের উত্তর পাশে কাটাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর ওই নারীকে রাতের আঁধারে নির্জন এলাকায় স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

স্থানীয় লোকজন জানান, নির্যাতিতা ওই নারীর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। হারবাং ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের কাটাখালী এলাকার জনৈক নাছির উদ্দিনের সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয় ওই নারীর। তবে তাদের সংসারে কোনো সন্তান নেই।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে চকরিয়ার হারবাং-বরইতলীর সীমান্তে হারবাং ছড়া ব্রিজের উত্তর পাশে কাটাখালী এলাকা থেকে ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই নারী উঠে দাঁড়ানোসহ চলাফেরাও করতে পারছিলেন না।

পুলিশ আরো জানায়, কাটাখালীর নাছির উদ্দিন ওই নারীর দ্বিতীয় স্বামী। এর আগে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই নারীর। সেই ঘরে ১২ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। বর্তমানে সে নানার বাড়িতে রয়েছে।

নির্যাতিতা ওই নারীর উদ্ধৃতি দিয়ে হারবাং ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার রাত আটটার দিকে পুলিশ গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই নারী শারীরিকভাবে এতই দুর্বল ছিল যে উঠেও দাঁড়াতে পারছিলেন না।

এ অবস্থায় নারী পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে সদর হাসপাতালের ওসিসিতে (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) প্রেরণ করা হয়।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনাটি পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়ার পর ঘটনায় জড়িত দ্বিতীয় স্বামী এবং একাধিক ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তবে তাদের শনাক্তপূর্বক আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, স্বামী কর্তৃক সংঘটিত ও তার লেলিয়ে দেওয়া একাধিক ব্যক্তি দ্বারা ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তিসাপেক্ষে থানায় মামলা রুজুসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version