parbattanews

চকরিয়ায় স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় হুমাইরা নামের এক গৃহবধু পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে স্বামীর সংসার ছেড়ে পালিয়ে যৌতুক দাবি ও নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বামী ও শ্বশুরকে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের কৃষ্ণাপুর এলাকার এ ঘটনা নিয়ে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২০ মার্চ সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর গুরুন্যাকাটা এলাকার নুরুল আমিনের মেয়ে হুমাইরা বেগমের সাথে বিএমচর ইউনিয়নের কৃষ্ণাপুর এলাকার শামসুল আলমের পুত্র জামাল হোছাইনের ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক নিকাহনামামূলে সামাজিক ভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন যেতে না যেতেই পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদের সূত্রপাত হয়।

স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকচক্ষুর অগোচরে হুমাইরা তার বাপের বাড়ির পাশ্ববর্তী এলাকার জৈনক ব্যক্তির সাথে পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়ে। ঘটনাটি পরিবারের লোকজন জানতে পারলে স্বামীর অজান্তে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই হুমাইরা স্বামীর গচ্ছিত নগদ একলক্ষ টাকা, স্বর্ণলংকার ও মূল্যমান কাপড় চোপড় নিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়। এতে ভুক্তভোগী স্বামী জামাল হোছাইন তার স্ত্রী হুমাইরাকে সংসারে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আইনজীবী মাধ্যমে ১৩ মার্চ ১৭ তারিখে “লিগ্যাল নোটিশ” প্রেরণ করেন।

এর জের ধরে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে হুমাইরা বেগম বাদী হয়ে ১৯ মে ১৭ তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চকরিয়া, সিআর৩৫৮/১৭ দায়ের করেন। ওই মামলায় স্বামী জামাল ছাড়াও আসামি করা হয় শ্বশুর শামসুল আলমকে।

এ প্রসঙ্গে মামলার অভিযুক্ত ভোক্তভোগী স্বামী জামাল হোছাইন বলেন, ‘শ্বশুর-শাশুড়ির আশ্রয় প্রশ্রয়ে আমার স্ত্রী হুমাইরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে উচ্ছৃঙ্খল আচারণ করত। এ বিষয়ে তার বাবা-মাকে কয়েকবার বলাও হয়েছিল। কিন্তু কোন সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়ে পালিয়ে চলে যাওয়ার পর উল্টো এ ঘটনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে ও আমার পিতাকে হয়রানি করার জন্য মামলা দায়ের করেছে।

তিনি আরও জানান, স্ত্রী হুমাইরা স্বামী হিসেবে শুধু আমাকে মামলায় জড়ালে কোনো আপত্তি ছিল না কিন্তু আমার নিরপরাধ পিতাকে কেন জড়ানো হয়েছে সেটা দুঃখজনক। যদি আমি দোষ করে থাকি তাহলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক তাতে কোন দুঃখ নেই। তবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তদন্ত পূর্বক সত্যতা যাচাইয়ের  জন্য  ভোক্তভোগী আহ্বান জানান।

Exit mobile version