parbattanews

চকরিয়ায়  ১১৪ পরিবারের  ১৮২ একর চিংড়ি জমি জবর দখলের অভিযোগ

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার ছড়াঘোনা ও মাস্টারঘোনা এলাকায় ১১৪ পরিবারের মালিকানাধীন ১৮২ একর লবণ ও চিংড়ি জমি স্থানীয় প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রের সদস্যরা অবৈধভাবে জবরদখলে নিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

দীর্ঘবছর ধরে এসব জমি অবৈধ দখলে চলে যাওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর প্রায় ২০কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়েছে। বর্তমানে নিত্যদিন দখলবাজ ভূমিদস্যুরা লবণ ও চিংড়ি জমি এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে। ফলে জমি মালিকরা হামলা ও হুমকির মুখে জমিতে চাষাবাদ করতে যেতে সাহস করছেনা। এ অবস্থার কারণে ওই এলাকায় ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনের মাঝেও এনিয়ে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

অভিযোগে জমি মালিক পক্ষের অংশিদার সামরুব বেগম চৌধুরী, নুরুল ইসলাম হেলালী, আক্তার আহমদ মেম্বার, মমতাজুল হক, সফিউল আলম, মোক্তার আহমদ মাষ্টার, ডা.নুরুল আবছার, মৌলভী আবু হুরাইরা, মোহাম্মদ আলম ও নুরুল হকসহ অনেকে জানান, খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া মৌজার বিএস ১৫৬ খতিয়ানের ৫৮একর ৪৯শতক ও বিএস ১৭৬দাগের ১২৫একর ১৯শতকসহ দুই খতিয়ানে মোট ১৮২একর লবণ ও চিংড়ি জমি রয়েছে স্থানীয় ১১৪ পরিবারের। এসব জমি তারা ক্রয়সূত্রে ও অনেকে পৈত্রিকভাবে মালিকানাধীন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এসব পরিবার জমি গুলোর বিপরীতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবছর যথারীতি খাজনাও (রাজস্ব) পরিশোধ করে বৈধভাবে ভোগদখল করে আসছেন। ইতোমধ্যে অনেকের নামে আলাদা জমাভাগ খতিয়ানও সৃজন হয়েছে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার দপ্তর থেকে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, বিগত ২০০৯ সালের দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার প্রভাবশালী চক্রের আস্কারায় রাতারাতি দাপট দেখিয়ে ১১৪ পরিবারের এসব জমি জোরপুর্বক জবরদখল করে নেয় খুটাখালী ইউনিয়নের অনুগত কিছু দুর্বৃত্ত। সেই থেকে উল্লেখিত জমি বাঁশখালী উপজেলার পুইছড়ি এলাকার ফৌজুল করিম চৌধুরীর ছেলে প্রভাবশালী সুলতানুল গনি ওরফে লেদু মিয়ার নেতৃত্বে একটি চক্র ১৮২ একর জমি দখলে রেখে দীর্ঘবছর ধরে লবণ ও চিংড়ি চাষের মাধ্যমে বেসুমার লুটপাট চালাচ্ছে।

জমি মালিকরা দাবি করেন, অভিযুক্ত ভূমিদস্যুরা তাদের জমি দখলে নেয়ার উল্লেখিত সময়ে তাদের ২০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে দখলবাজ চক্রের সদস্যরা জমি এলাকায় ভাড়াটে দুর্বৃত্তদের জড়ো করে নিত্যদিন অস্ত্রের মহড়া দেয়ায় জমি মালিকরা তাদের জমিতে চাষাবাদে যেতে ভয় পাচ্ছে। এ অবস্থার কারণে জমি মালিক ১১৪ পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও চরম আতঙ্কে রয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার গুলো তাদের বেহাত হওয়া জমি উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Exit mobile version