চকরিয়ায় ২৩ মেট্রিকটন চোরাই সার মজুদ 

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত খুচরা বিক্রেতা পলাশ দে গুদামে বিপুল পরিমাণ চোরাই সার মজুদ করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি।

ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিসিআইসির সার ডিলার মের্সাস রূপালী ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে নাম মাত্র বরাদ্দের সার উত্তোলনের ফাঁকে ফাঁকে অভিযুক্ত খুচরা বিক্রেতা পলাশ দে দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম ও ঘোড়াশাল থেকে চোরাই পথে এসব সার কিনে এনে ডুলাহাজারা বাজারস্থ তাঁর গুদামে মজুদ করে।

সরকারিভাবে নিয়ম আছে, একজন খুচরা বিক্রেতা তাঁর গুদামে একটন  সার মজুদ রাখতে পারবেন। কিন্তু তদন্তে খুচরা বিক্রেতা পলাশ দে’র গুদামে পাওয়া গেছে প্রায় ২৩ মেট্রিক টন সার। এ ধরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান ঘটনাটি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মহিউদ্দিনকে দায়িত্ব দেন। নির্দেশের প্রেক্ষিতে গত ২৩ জুলাই বিকেল পাঁচটার দিকে খুচরা বিক্রেতা পলাশ দে’র ডুলাহাজারা বাজারস্থ গুদামে তদন্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন উপস্থিত হন । ওই সময় গুদামে তল্লাসি চালিয়ে দেখেন, সেখানে মজুদ রয়েছে ১০ টন ইউরিয়া সার, ৬ টন টিএসপি সার, ৪ টন এমওপি সার, ৩ টন ডিএপিসহ সর্বমোট ২৩ মেট্রিক টন সার। ওই সময় মজুদ তালিকা প্রস্তুত করে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত খুচরা বিক্রেতা পলাশ দে এবং উপস্থিত স্বাক্ষীদের সাক্ষরও নিয়েছেন।

তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন বলেন, তদন্তের পর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে।

তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্ত খুচরা বিক্রেতা বিগত পাঁচ মাসের মধ্যে ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিসিআইসির সার ডিলার মের্সাস রূপালী ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে দুইবার সার উত্তোলন করেছেন। তারমধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারী তারিখে ৭৫০ কেজি ইউরিয়া ও ২২ ফেব্রুয়ারী তারিখে একটন ইউরিয়া সার নিয়েছেন। এরপর থেকে খুচরা বিক্রেতা পলাশ দে আর কোন ধরণের সার মুল ডিলার থেকে নেয়নি।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, খুচরা বিক্রেতার গুদামে অতিরিক্ত সার মজুদের বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর গত ২৬ জুলাই তদন্ত কর্মকর্তা এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দিয়েছেন। অভিযুক্ত খুচরা বিক্রেতাকে অপকর্ম থেকে রক্ষা করতে একটি মহল নানভাবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে তদবির শুরু করেছেন। যার কারনে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তর থেকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাতে ইচ্ছেকৃতভাবে সময় করা হচ্ছে বলেও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ তুলেছেন।

 

 

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন