চকরিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ার হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ৯৮৫পিস ইয়াবা ট্যালেট উদ্ধার করেন।ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ ৩ ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলার মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুহুল আমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাইওয়ে পুলিশ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া থানাধীন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের মালুমঘাটস্থ বনবিভাগের ডিউটি ষ্টেশন এলাকায় ১৫ নভেম্বর বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী যাত্রীবাহী ইউনিক পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৬৫৬৭)যোগে ইয়াবা পাচারে গোপন সংবাদ পাই পুলিশ। সংবাদ পেয়ে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল গাড়ীটি সিগন্যাল দিয়ে থামিয়ে সন্দেহজনক ভাবে এক নারীর ভ্যানিটিব্যাগ তল্লাসী চালিয়ে ৯৮০পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। ধৃত ইয়াবা পাচারকারী হলেন, টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণ হ্নীলা লেচুয়া পালং এলাকার নুর আহমদের স্ত্রী রাশেদা বেগম(৩৫)বলে জানাগেছে।
অপরদিকে চকরিয়া পৌরশহরের ৮নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশঘাটা রোড় এলাকায় চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে থানার উপপরিদর্শক(এস আই) মো.আবদুল খালেকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় কাউন্সিলর মুজিবুল হকের সহয়তায় অভিযান চালিয়ে দুই খুচরা ইয়াবা বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত ইয়াবা বিক্রেতারা হলেন, চকরিয়া পৌরসভা ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী এলাকার হাবিবুল্লাহ পুত্র শফি আলম(৩২) ও পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের বাস টার্মিনাল এলাকার মৃত রশিদ আহমদের পুত্র রুহুল কাদের(৩৫)।এ সময় পুলিশ দু’জনের দেহ তল্লাসী করে ৫পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানান।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ তিন ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।ধৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।