parbattanews

 চকরিয়া কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহিনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

Chakaria Pic. (Mahin) 22.05

চকরিয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়ায় কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে পৌরসভার স্বপ্নপূরী ক্লাবের কাছে ঘটেছে এ ঘটনা।

আহত ছাত্রলীগ নেতার দাবি, পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিটু ও অন্যতম সহযোগী হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তার ওপর পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালায়। এ সময় তার কাছ থেকে নগদ ৯৫ হাজার ৭০০ টাকা এবং দামি দু’টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।

আহত ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম মাহিন (২৫)। সে চকরিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের মাষ্টার পাড়ার ঠিকাদার রশিদ আহমদের পুত্র এবং চকরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের নেতা।

আহত ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম মাহিন সোমবার থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে আরও দাবি করেছেন, চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিটু তার অপকর্মের অন্যতম সহযোগী হাবিবুর রহমানকে সাথে নিয়ে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা ও মোটর সাইকেল চুরির মতো অসংখ্য অপরাধ সংঘটিত করে আসছিল। এমনকি ইতিপূর্বে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় সাদ্দাম হোসেন মিটুর বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয় এবং এ মামলায় দীর্ঘদিন ধরে সে জেল খেটে বের হয়।

আহত মাহিনের আরও অভিযোগ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিটু সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী এসব অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তাকেও (মাহিন) সম্পৃক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার এসব অপকর্মে সহায়তা না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে  সোমবার বিকেল ৪টার দিকে সশস্ত্র এ হামলা চালিয়েছে মিটুর নেতৃত্বে হাবিব, জাওয়াদসহ অন্তত ১০-১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। হামলার সময় তাকে মাথায়, কোমরে, হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ সময় ছিনিয়ে নেয় তার কাছে থাকা বাবার ঠিকাদারী ব্যবসার নগদ ৯৫ হাজার ৭০০ টাকা এবং দামি দু’টি মোবাইল সেট।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ধরণের কোন অভিযোগ তিনি পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে হামলায় নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ উঠা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিটুর বক্তব্য নিতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Exit mobile version