parbattanews

চট্টগ্রামের খুলশীতে চিরকুট লিখে উপজাতি তরুণীর আত্মহত্যা

নিউজ ডেস্ক:

চট্টগ্রামের খুলশীতে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে ওয়াইনুচিং মারমা (২৩) নামে এক  উপজাতি তরুণী।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণী ওয়াইনুচিং মারমা রাঙামাটির বেতবুনিয়ার সানাইপাড়ার অং সুই মারমার মেয়ে। সে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি হিসাবে কর্মরত ছিলো।

নিহত ওয়াইনুচিং মারমা খুলশী থানার দক্ষিণ খুলশী এক নম্বর সড়কের সি ব্লকের সৈয়দ রহমান টাওয়ারে খালাতে বোনের বাসায় থাকতো।

খুলশী থানার পরিদর্শক (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন জানান, ওয়াইনুচিং তার খালাতো বোনের সাথে একই ফ্ল্যাটের একটি রুমে থাকতো। রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার সময় রুমে ঢুকে দরজার হুক ভেতর থেকে লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত তরুণীকে নামিয়েছে।

ওসি বলেন, মৃত্যুর আগে তরুণী তার নোট বুকে একটি চিরকুট লিখেছে। সেখানে লিখা হয়েছে, ‘আমি নিজের ইচ্ছেই এ পথ বেছে নিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য এ বাসায় বা আমার পরিবার কেউ দায়ী নয়। আমি-জাহিদ আর অন্য সমস্যা থাকার কারণে নিজে বাঁচার আর পথ দেখিনি। আমার যদি বা কিছু হয়ে যায় জাহিদকে ধরলে সব বের হয়ে যাবে।’

ওসি বলেন, নোটবুকে লেখাগুলো আদৌ নিহত ওয়াইনুর হাতের লিখা কি না তা যাচাই করে দেখবো আমরা।

নিহত ওয়াইনুর খালাতো বোনের স্বামী সাউমং মারমা জানান, কেন আত্মহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছি না। জাহিদ নামে কাউকে আমরা চিনি না।

ওসি আরও বলেন, সৈয়দ রহমান টাওয়ারের ষষ্ঠ তলার এ বাসায় খালাতো বোনের জামাই, খালাতো বোন ও তাদের সন্তানও থাকে। শনিবার বিকেলে ওয়াইনু বাসায় একা ছিলো। সন্ধ্যার পর বাইরে থেকে তার বোনেরা বাসায় ফিরে। অনেকক্ষণ ধরে কলিংবেল বাজিয়েও ভেতরে থেকে সাড়া না পেয়ে তারা থানার খবর দেন।

প্রাথমিকভাবে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর সবকিছু পরিষ্কার হবে। আত্মহত্যা কিংবা হত্যা যাই হোক তদন্তে সব বের হয়ে আসবে বলেও জানান ওসি।

Exit mobile version