parbattanews

চট্টগ্রাম-বরিশালে ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা

বাংলাদেশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। আর অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সতর্কবাণী দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারী (৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।

‘অতিভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।’

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ুর বর্ধিতাংশের অক্ষ ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর ও মধ্য প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ অতিক্রম করে উত্তরপূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান।

সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের অথবা ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বৃষ্টির কারণে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।

সকাল ৬টা পর্যন্ত টেকনাফে সর্বোচ্চ ৮৩ মিলিমিটারসহ সারাদেশের বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

Exit mobile version