parbattanews

চতুর্থ দফায় রিমান্ড শেষে আদালতে প্রদীপ

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) কড়া নিরাপত্তায় প্রদীপকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফের বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে চতুর্থ দফায় ১ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ-৩) আদালতে আনা হয়। এরপর তাকে বিচারকের খাস কামরায় নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে তার জন্য নতুন কোন রিমান্ড আবেদন করা হবে না বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলাম।

আদালতে তোলার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রদীপকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।

এর আগে ৩১ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খায়রুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনহা হত্যার ঘটনায় প্রদীপের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তামান্না ফারাহ।

পরপর চারদফা রিমান্ডে বরখাস্ত ওসি প্রদীক কী তথ্য দিয়েছেন তা জানার আগ্রহ সবার।  তবে, বরাবরই আলোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

গত ২৮ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক (বরখাস্ত) লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের তৃতীয় দফায় ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ড শেষে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে লিয়াকত আলী ও নন্দদুলাল রক্ষিতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

একই মামলায় মঙ্গলবার পুলিশের তিন সাক্ষীর আরো ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন তামান্না ফারাহর আদালত।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

তিনি মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফিরছিলেন।

খুনের ঘটনায় গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার আসামি ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ১১ আগস্ট গ্রেফতার করে মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।

এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিন এপিবিএন সদস্যকে গ্রেফতার করে এলিট ফোর্স।

একই ঘটনায় টেকনাফ থানায় দুইটি ও রামু থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সাক্ষী অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পরে আরেকটি মামলা হয়। মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১৩ জন। সিনহা খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫টি মামলা হয়েছে।

Exit mobile version