parbattanews

চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে ছাত্র পরিষদের সংবর্ধনা

cu

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান এইচ. এম. ফজলে রাব্বী সুজন চবি ছাত্রলীগের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হওয়ায় পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে ছাত্র পরষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পক্ষ থেকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। এরপর একটি আলোচনা সভা করে সংগঠনটি।

বাঙালি ছাত্র পরিষদ চবি শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম ফিরোজের সভাপতিত্বে র্সবর্ধনা অনুষ্ঠান ও সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কাউসার উল্লাহ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনসুর ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: সেকান্দর চৌধুরী।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো: সারোয়ার জাহান খান ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: ছাদেকুর রহমান এবং ছাত্র নেতা মিজানুর রহমান মিনুসহ ছাত্রী নেত্রী ফারিয়া মুনতাহা মুহি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আবুল মনসুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদেরকে গঠনমূলক রাজনীতি চর্চা করতে হবে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথাও বলেন তিনি ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির পুনর্বিবেচনার দাবি জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পূর্ণভাবে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং এ শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদেরকে ৩য় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে।

বক্তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে আলাদা জুম্মল্যান্ড রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি, সিএসটি কমিশনসহ বিভিন্ন এনজিওগুলো কাজ করে যাচ্ছে। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনও খ্রিস্টান ধর্মে দিক্ষীত করার ষড়যন্ত্র চালু রেখেছে ।

তারা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বাঙালিদেরকে সকল ক্ষেত্রে তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপজাতি কোটা বাতিল করে তার পরিবর্তে পার্বত্য কোটা চালু করার পাশাপাশি শিক্ষা, চাকুরী, ব্যবসাসহ সকল ক্ষেত্রে সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে উপজাতি সন্ত্রাসীদের সকল অস্ত্র, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, অপহরণ বাণিজ্য বন্ধেরও জোর দাবি জানান তারা।

Exit mobile version