সেন্টমার্টিন ভ্রমণ শেষে ফেরার পথে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বে-ক্রুজ-ওয়ানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ শাকিল (২৭) নামের এক আসামিকে আটক করেছেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক আ ফ ম ফজলে রাব্বি চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
দায়ের করা মামলায় জাহাজটির সুপারভাইজার লুৎফুর রহমান খোকনকে (৩২) প্রধান আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এজাহারের অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের মালিক বাহাদুর।
মঙ্গলবার বিকালে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের পথে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বে-ক্রুজ-১ এ বসা নিয়ে বিতণ্ডার জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তরের একদল শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ঘটে ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, অর্থনীতি বিভাগের ৭৬ জন সদস্যসহ বাদী রোববার শিক্ষাসফরে সেন্টমার্টিন যান। সেখান থেকে মঙ্গলবার ফেরার সময় একই জাহাজে তাদের নামে ক্রয় করা সীটে বিনা টিকেটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের বসিয়ে রাখে কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে বে-ক্রুজ ইন্টারন্যাশনাল জাহাজের সুপারভাইজার লুৎফর রহমান খোকনকে অভিযোগ করলে তিনি সমাধান না করে উল্টো বাদীপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে উচ্চস্বরে চেঁচামেচিসহ উদ্ধত আচরণ করেন এবং তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আনোয়ার হোসেনকে এলোপাথাড়ি মারধর করে বলে অভিযোগ করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে জাহাজ হতে সাগরে ফেলে দেওয়ার জন্য বুকে সজোরে লাথি মারেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, জাহাজ টেকনাফের দমদমিয়া ঘাটে পৌঁছালে বাদীসহ শিক্ষার্থীরা জাহাজ থেকে নামার জন্য জাহাজ ডেকে অবস্থানকালে আসামিরা এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জন লাঠি-সোটা, লোহার রড নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে।
এতে শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত জখম হন এবং লাঠি-সোটা ও লোহার রডের আঘাতে আহত হন এবং আসামিরা বাদীর পকেট থেকে নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা ছিনতাই করে বলেও অভিযোগ করা হয়।
পরে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করেন।
মামলার বাদী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক আ ফ ম ফজলে রাব্বি চৌধুরী বলেন, ” আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। বাঁচাতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা আহত হয়েছেন। রাতেই তিনি বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাসির উদ্দিন মজুমদার বলেন, ” গ্রেপ্তার আসামিকে বুধবার বিকালে কক্সবাজার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের আটক করার জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।