parbattanews

চাঁদা না পেয়ে বাড়িতে আগুন ও ফলদ বাগানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সবুজবাগ (অনন্ত মাস্টার) এলাকায় দাবিকৃত চাঁদা না পাওয়ায় একটি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। একই সময় আরো একটি ঘর ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করাসহ ফলদ বাগান কাটা, সিমানা পিলার উত্তোলন ও তারকাটা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে চিহিৃত সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত জ্যোতিষ জ্ঞান চাকমার।

ক্ষতিগ্রস্ত জ্যোতিষ জ্ঞান চাকমার অভিযোগ, রবিবার গভীর রাতে ( ১৪ নভেম্বর) কিছু চিহিৃত সন্ত্রাসী তার জায়গায় প্রবেশ করে বাগানের জন্য সৃজন করা গাছগুলো কেটে ধ্বংস করে দেয়। একই সাথে বাগানের নির্মিত খামার ঘরে অগ্নিসংযোগ ও আরেকটি ঘর ভাংচুর করে। এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত মালিক জ্যোতিষ জ্ঞান চাকমা।

তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার পূর্বক ক্ষতিপূরণ ও সন্ত্রাসী হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

বাগানের মালিক জ্যোতিষ জ্ঞান চাকমা জানান, অনেক আগ থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের উত্তর সবুজবাগ এলাকা ৭-৮ জন সন্ত্রাসী আমার বাগানে ক্ষতির চেষ্টা করছিলো। এ নিয়ে আমি থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি। তারাই রবিবার রাতে বাগানে পরিকল্পিতভাবে প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগে গত ২-৩ মাস পূর্ব হতে একই ওয়ার্ডের কুমিল্লা টিলার এলঅকার আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত ২৭ অক্টোবর আমার দখলীয় জায়গাটি তার দাবি করে আমার বাগানে জঙ্গল কাটা শুরু করে। আমি তাদেরকে বাধা দিলে আমাকে সেদিন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ঘটনার পর আমি গত ২৯ অক্টোবর ২০২২ খাগড়াছড়ি সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করেছি।

জ্যোতিষ জ্ঞান চাকমা অভিযোগ করে জানান, গত কয়েক দিনের ঘটনায় তার বাগানে বেড়ার জন্য ব্যবহৃত ১০০টি পিলার, বেড়ার ১৭টি জিআই তারের নেট খুলে নিয়ে গেছে। এছাড়া বাগানে রোপন করা ৫০০টি সুপারি চারা, ৫০০টি পেঁপে গাছ, ৯ প্রজাতির ৩০০টি কলা গাছ, ৫০০টি সিটলেস লেবু গাছ কেটে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। পাশাপাশি বাগান রক্ষার্থে খাগড়াছড়ি সদর থানায় পর পর দু’টি অভিযোগ দায়ের করার করলেও তাদের এখনো গ্রেফতার করেনি বলে তিনি জানান।

একই সাথে বাগান ধ্বংসের ক্ষতিপূরণসহ নিরাপত্তা ও বাগান রক্ষার্থে অবিলম্বে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, উল্লেখিত বিষয়ে থানার কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

Exit mobile version