parbattanews

চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

ছবি: অভিযুক্ত আনিসুল ইসলাম

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের মাস্টাররোলের ‘অফিস সহায়ক’ পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে জনস্বাস্থ্যের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছে ভুক্তভোগী যুবক।

গত রবিবার (১২ নভেম্বর) চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে প্রতারণার মামলাটি করেছেন বান্দরবান জেলার লামা পৌরসভার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন হৃদয় নামের এক যুবক।

মামলায় আসামি করা হয়েছে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড়ের আরব সিকদার পাড়া গ্রামের হাবিব উল্লাহর ছেলে ও পেকুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের সাবেক নলকূপ মেকানিক আনিসুল ইসলামকে (বর্তমানে ঈদগাহ উপজেলা জনস্বাস্থ্যে অফিসে কর্মরত)। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগের সূত্রে জানা গেছে, গত ২-৩ বছর পূর্বে বান্দরবার জেলার লামা পৌরসভার এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন হৃদয় পেকুয়া শহীদ জিয়া বিএমআই কলেজে পড়ালেখাকালীন সময়ে পেকুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের কর্মচারী আনিসুল ইসলামের সাথে তার পরিচয় হয়। এ সুবাধে কলেজ টাইমের পরে আনিসুল ইসলামের সাথে প্রায় সময় উপজেলায় দেখা হতো। এক পর্যায়ে মোশারফ তাকে একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে বলে। পরে তাকে পেকুয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসে ‘অফিস সহায়ক’ পদে মাস্টার রোলে চাকরি দিতে পারবেন মর্মে আনিসুল জানায়। এরজন্য মোশারফের কাছ থেকে খরচের কথা বলে এক লাখ টাকা দাবি করেন আনিসুল।

ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন বলেন, আনিসুল ইসলামের কথামতো সহজে বিশ্বাস করে ধারদেনা করে গত ২০২১ সালের ২২ জুলাই কয়েকজন আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের স্বাক্ষী রেখে আনিসুল ইসলামকে এক লাখ টাকা এবং আমার ছবি সম্বলিত বায়োডাটা দিই। টাকা নেওয়ার সময় আমাকে বলে যে, এক মাসের মধ্যে পেকুয়া জনস্বাস্থ্য অফিসে মাস্টাররোলে ‘অফিস সহায়ক’ পদে আমার মাস্টাররোলের চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু মাসের পর মাস, বছরের পর বছর যায় আমার চাকরি হয়না। আনিসুল ইসলামও আমার সাথে আর দেখা করেনা। চাকরি দিতে না পারলে টাকাগুলো ফেরৎ দেওয়ার জন্য বলি। তিনি টাকাগুলো আজ দেবে, কাল দেবে বলে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করে আসছে।

প্রতারণার শিকার মোশারফ হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি একজন গরীব মানুষ। বর্তমানে আমি লামা মাতামুহুরী ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়নরত আছি। চাকরি দেওয়ার নামে আমার সাথে সরল বিশ্বাসে প্রতারণা করেছে পেকুয়া জনস্বাস্থ্য অফিসের নলকূপ মেকানিক আনিসুল ইসলাম। তার কাছ থেকে আমার টাকাগুলো উদ্ধারের জন্য কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও তারা আনিসুলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমি আদালতে মামলা করেছি। এখন আমি ন্যায় বিচার চাই। আমার টাকা ফেরত চাই।

অভিযোগের ব্যাপারে পেকুয়া জনস্বাস্থ্য অফিসের সাবেক কর্মচারী আনিসুল ইসলামের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত কর্মচারী আনিসুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version