parbattanews

চার বছর ধরে ঝুলছে পানছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফাইল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শীতের আগমনী বার্তা লগ্নেই অগ্নিকাণ্ডের হলুদ সংকেত পড়ে পানছড়ি বাজারসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন বাজারগুলোতে। দীর্ঘ বছর ধরেই রাতের কোন না কোন অংশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মরুভূমি হয়েছে পানছড়ির বিভিন্ন বাজার এমনকি সরকারী ভবনও। কিন্তু জমি অধিগ্রহনের দোহাই দিয়ে চার-চারটি বছর ধরে ঝুলছে পানছড়ি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মানের ফাইল।

২০১১-২০১২ অর্থ বছরে মাটিরাঙ্গা ও ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দিঘীনালা উপজেলায় ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন স্থাপনের কাজ শুরু হলেও পানছড়ি উপজেলায় আজও জমি অধিগ্রহনের গ্যাঁড়াকল থেকে বের হতে পারেনি প্রশাসন। অথচ একই সাথে পানছড়িতেও স্টেশন স্থাপন করার কথা ছিল। অনেকের দাবী ২০১১-১২ সালের টেন্ডার আজও বলবৎ আছে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছে ফাইল বহাল থাকলেও প্রশাসন আঙ্গুল বাঁকা উদ্যোগ নিলেই জমি অধিগ্রহন সমাধান সম্ভব।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ২০০০ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছরই অগ্নিকান্ড যেন মানুষের গা-সহনীয় ঘটনায় পরিনত হয়েছে সীমান্তঘেঁষা প্রত্যন্ত পানছড়িবাসীর।  ঘটনা ঘটে গেলে উপায়হীন মানুষের নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা সর্বসাধারণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাহিনীর। তাই সবার দীর্ঘশ্বাস পানছড়িবাসীর ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন নির্মানের ফাইলটি একটু নাড়া-চাড়া দিবে কি?

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি জেলা ফায়ার ব্রিগেড স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক তোফিকুল ইসলাম ভূইয়ার সাথে আলাপকালে জানান, ষ্টেশন স্থাপনের নিমিত্তে জায়গার অধিগ্রহনের জন্য ডিসি অফিস থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন শুধু মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। ঢাকা থেকে অনুমোদন পেলেই যেসব প্রক্রিয়া বাকী রয়েছে সেগুলো শেষ করা হবে।  কিভাবে দ্রুত পানছড়িতে ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন স্থাপনের কাজ শুরু করা যায় সে ব্যাপারে তিনি আন্তরিক বলে জানান।

পানছড়ির ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের দাবী ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন স্থাপন হয়ে গেলেই এই অবহেলিত জনপদের মানুষের মনে বইবে স্বস্তির সু-বাতাস ।

Exit mobile version