চালক-পথচারী ও যাত্রী সচেতনতায় হ্রাস পাবে সড়ক দূর্ঘটনা

fec-image

সড়ক দুর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজারসহ সারা দেশের রাস্তাগুলোতে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। এ যেন নিত্য-নৈমত্তিক ব্যাপার। এই অব্যাহত সড়ক দূর্ঘটনার ফলে বহু মূল্যবান জীবনহানী হচ্ছে। বহুলোক পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন সারা জীবনের জন্য। এছাড়া মারাত্মকভাবে ক্ষতি হচ্ছে দেশের অর্থনীতির।

এই সমস্যা যেন কোন ভাবেই সমাধান হওয়ার নয়। সড়ক দূর্ঘটনার ফরে বেরিয়ে আসে কারো না কারো ভুলের কারনেই অঘটন ঘটেছে। হয় চালকের অবহেলা নয়ত পথচারীর ভুল অথবা যাত্রীর অজ্ঞতাই এই দূর্ঘটনার কারন। এসব ছাড়াও নানা অব্যবস্থাপনার কারনে ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। এ অব্যাহত সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাস পাবে চালক, পথচারী ও যাত্রীদের সচেতনতায়। এমনটাই বলছেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষসহ (বিআরটিএ) সংশ্লিষ্ট মহল।

তাদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, চালকের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও ওভারটেকিং’ই হচ্ছে সড়ক দূর্ঘটনার প্রধান কারন। পাশাপাশি পথচারীদের অসচেতনতা ও যাত্রীদের অজ্ঞতার ফলেও ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা।

সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাসে চালকদের সচেতনতার ব্যপারে তাদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, জীবন ও সম্পদ বাঁচিয়ে সাবধানে গাড়ী চালাতে ওভারটেকিং নিষিদ্ধ এলাকায়, রাস্তার বাঁকে, সরু ব্রীজে ওভারটেকিং করা যাবে না। গাড়ি চালনাকালে এয়ার ফোন ও মোবাইল ফোনে কথা বলা যাবে না। গতিসীমা লংঘন করে অতিক্রম করে গাড়ি চালানো যাবে না। যান্ত্রিক ক্রটিযুক্ত ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামানো যাবেনা। বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ীর বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়ী রাস্তায় নামানো যাবে না। যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং করা যাবে না। ট্রাফিক আইন, রোড সাইন ও ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ মেনে চলতে হবে।

যাত্রীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া তথ্যে জানা যায়, কোন যাত্রী চলন্ত গাড়ীতে চালক হেডফোন বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তাকে বাধা দেওয়া উচিত। সড়ক দূর্ঘটনায় ঘটার সাথে সাথে স্থানীয় পুলিশকে সংবাদ দিতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। সময় বাাঁচাতে গিয়ে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে গাড়িতে উঠানো যাবেনা। চলন্ত গাড়িতে উঠানামা করা যাবেনা। চালকের মনযোগ বিঘœ ঘটে এমন কিছু করা উচিত নয়। মালবাহী মোটরযানে যাত্রী হয়ে উঠা যাবেনা। ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, ভটভটিতে যাত্রী হয়ে উঠা যাবেনা।

পথচারীদের প্রতি আহবান করেন, দৌড়ে রাস্তা পার হওয়া যাবে না। রাস্তা পারাপারের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেখানে ফুটপাত নেই, সেখানে রাস্তার ডানপাশ দিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হবে। যানজট নিরসনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। জেব্রা ক্রসিং, ওভারব্রীজ ও আন্ডারপাস দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে। ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে হবে। রক্ষিত-অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় ডানে-বামে দেখে রাস্তা পারাপার হতে হবে।

কক্সবাজার (বিআরটি) এর সহকারী পরিচালক পারকন চৌধুরী জানান, সড়ক দূর্ঘটনার অন্যতম কারনের মধ্যে রয়েছে চালকের অদক্ষতা ও অজ্ঞতা। তাই পরিক্ষার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে চালকদের। লাইসেন্স বিহীন চালকরা রাস্তায় গাড়ি চালানো অবৈধ। এছাড়া সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে নানা ধরনের সেমিনারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: চালক, দূর্ঘটনা, পথচারী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন