parbattanews

চিত্রশিল্পী দিব্য চাকমা জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী

জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ২০১৯ এর জাতীয় পর্যায়ে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা ৫ নং বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের দিব্য চাকমা (১৫) । ‘উন্নয়নে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ‘গ’ বিভাগে প্রথম স্থান লাভ করে সে।

শিশুদের অধিকার সুরক্ষা এবং শারীরিক-মানসিক ও সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি দেশব্যাপী আয়োজন করেছে জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা।

১২ জুন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ‘গ’ বিভাগের চিত্রাঙ্কন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেরা চিত্রশিল্পী হিসেবে প্রথম পুরস্কার গ্রহণ করে বন্দুক ভাঙ্গার কৃতি সন্তান দিব্য চাকমা। তিন বিভাগের মধ্যে ‘গ’ বিভাগে প্রথমে উপজেলা পর্যায় শুরু করে জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও পরে জাতীয় পর্যায়ে চিত্রাঙ্কনে প্রথম স্থান লাভ করে দিব্য চাকমা।

এর পাশাপাশি দিব্য চাকমা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অর্ধশত পুরস্কার লাভ করে। সে রাঙ্গামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ১০ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র। দিব্য চাকমা বাবা মার দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে। ৫৯ নং বন্দুক ভাঙ্গা মৌজার ৫ নং বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের ঢেবাছড়া তার গ্রামের বাড়ি। তার বাবা রবীয়া চাকমা পেশায় একজন সরকারি চাকুরীজীবি।

রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রচারন অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিষদ কার্যালয়ে সার্বেয়ার পদে কর্মরত। মা যশী চাকমা রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সারাধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন সহকারি শিক্ষিকা।

প্রথম পুরস্কার অর্জনের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দিব্য চাকমা জানান, আমি কখনো ভাবিনি জাতীয় পর্যায়ে প্রথম স্থান বিজয়ী হতে পারবো। আমার এ অর্জন শুধু আমার একার নয়। এর পেছনে আমার বাবা-মার উৎসাহ ও আমার শিক্ষক রাখি ত্রিপুরা ম্যাডামের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারনে আমি এ সফলতা লাভ করেছি।

আবৃত্তি ও সঙ্গীত শিক্ষক বিজ্ঞান্তর চাকমা জানান, দিব্য চাকমা আমার সেরাদের মধ্যে সেরা একজন ছাত্র। সে শুধু চিত্রাঙ্কনে পারদর্শী নয়। সে লেখা-পড়া ও গানে আবৃতিতেও সেরা ছাত্র। আমি আশাবাদী,সে একদিন বন্দুক ভাঙ্গা তথা রাঙ্গামাটির মুখ উজ্জল করবে।

এ বিষয়ে দিব্য চাকমার বাবা-মা জানান, আমাদের দিব্য চাকমা শুধু বন্দুকভাঙ্গার মুখ উজ্জল করেনি। সমগ্র রাঙ্গামাটির মুখ উজ্জল করেছে। আমাদের দিব্য চাকমা ভবিষ্যতে আরো সেরা পুরস্কার পেয়ে রাঙ্গামাটির মুখ উজ্জল করুক এটি আমাদের প্রার্থনা। আমরা সকলের কাছ থেকে দিব্য চাকমার ভবিষ্যত উজ্জল ও মঙ্গল কামনা করছি।

তথ্যসূত্র মতে, ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি উপজেলা, ২৩ থেকে ২৫ জানুয়ারি জেলা এবং ২৮ থেকে ৩০ জানুয়ারি বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি ‘ক’ বিভাগ, পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি ‘খ’ বিভাগ এবং সপ্তম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ‘গ’ বিভাগে অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।

Exit mobile version