parbattanews

চীনের পারমাণবিক সাবমেরিন বিপর্যয়ে ৫৫ জন নিহত

২০১৯ সালে নৌ কুচকাওয়াজের সময় চীনের একটি পারমাণবিক সাবমেরিন

চীনের পারমাণবিক সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ৫৫ জন চীনা নাবিকের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের জাহাজের জন্য পাতা ফাঁদে আটকে এ বিপর্যয় হয়েছে। ‍

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য টাইমসের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাদের বরাতে এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পীত সাগরে একটি ফাঁদে আটকা পড়ে এ বিপর্যয় ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দার সূত্রের খবরে দাবি করা হয়েছে, সাবমেরিনের অক্সিজেন সিস্টেমে বিপর্যয়ের কারণে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পীত সাগরে ব্রিটিশ সাব-সারফেস জাহাজগুলোর জন্য ওই ফাঁদ পাতা হয়েছিল। আর তাতেই চীনের নিজেদের জাহাজ আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও সাবমেরিনে বিপর্যয়ের এ খবর নাকচ করে দিয়েছে চীন।

ডেইলি মেইল গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে, মৃত নাবিকদের মধ্যে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) নৌবাহিনীর ‘০৯৩-৪১৭’ সাবমেরিনের ক্যাপ্টেন কর্নেল জুই ইয়ং-পেং রয়েছেন। তিনি ছাড়াও সাবমেরিনে নিহতদের মধ্যে নৌবাহিনীর আরও ২১ কর্মকর্তা ছিলেন।

ডেইলি মেইল গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুসারে ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ২১ আগস্ট চীনা ওই সাবমেরিনটি পীত সাগরে একটি মিশনে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ওইদিন স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যার ফলে ৫৫ জন ক্রু সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২২ জন অফিসার, ৭ অফিসার ক্যাডেট, ৯ জন পেটি অফিসার এবং ১৭ জন নাবিক ছিলেন। সাবমেরিনে সিস্টেমের ত্রুটির কারণে সৃষ্ট হাইপোক্সিয়াকে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

যুক্তরাজ্যের এই গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেছে চীন। অন্যদিকে এ দাবির প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছে তাইওয়ানও। তবে এ বিষয়ে ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে জানায় ডেইলি মেইল।

Exit mobile version