parbattanews

‘চুক্তির বাকি ধারাগুলো বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে’

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, চুক্তির বাকি ধারাগুলো বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের কল্যাণে পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছেন বলে পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। চুক্তির পূর্ববর্তী ও পরবর্তি পরিস্থিতি অবলোকন করলে দেখা যাবে বর্তমানে পাহাড়ের মানুষ সার্বিক দিক দিয়ে স্বস্তি ও শান্তিতে রয়েছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইন্সটিটিউিটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ত্রিপুরা ষ্টুডেন্ট ফোরামের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে শিক্ষিত জাতি ও মেধাবী জনগোষ্ঠীর বিকল্প নেই। তাই পার্বত্য এলাকায় শিক্ষিত জাতি গঠনে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। সরকার শিক্ষার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই বিতরণ, শিক্ষাবৃত্তিসহ শিক্ষিত জাতি গঠনে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। আমাদের পার্বত্য এলাকার শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে নৃ-গোষ্ঠীদের নিজস্ব বর্ণমালায় পাঠ্যবই বিতরণ করছে। যাতে করে সমতলের ন্যয় এখানকার ছেলে মেয়েরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমাদের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়তে শিক্ষিত জাতি ও মেধাবী জনগোষ্ঠী গড়তে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

এ সময় ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রেম কুমার ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, পরিষদ সদস্য ও রাঙ্গামাটি ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক প্রভাংশু ত্রিপুরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রীতি কান্তি ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক দিনময় রোয়াজা, রাঙ্গামাটি ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের উপদেষ্টা সাগরিকা রোয়াজা, ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ঝিনুক ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের সাবেক সভাপতি সুরেশ মোহন ত্রিপুরা প্রমূখ।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ত্রিপুরা ষ্টুডেন্ট ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিটি রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিটিউট প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়ে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে সুরে জাতীয় পতাকা ও পরে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর ফেস্টুন ও শান্তির পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ উদ্বোধন করেন অতিথিরা।

আলোচনা সভা শেষে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় এবং স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Exit mobile version