parbattanews

চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশের মানুষ চরম হতাশার মধ্যে দিনযাপন করছে- উষাতন তালুকদার

স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্য চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ের মানুষের মধ্যে চরম হতাশা এবং একটা সংকটময় অবস্থা দিনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার। তিনি বলেন, সরকারের উচিৎ হবে এই পার্বত্য সমস্যাকে আর ঝুলিয়ে না রেখে এটা যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গভাবে চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে এই পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

রবিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জনসংহতি সমিতির আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাখেন, রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির জেলা শাখার নেতা নতুন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য গুনেন্দু বিকাশ চাকমা, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা, আদিবাসী ফোরামের সভাপতি প্রকৃত রঞ্চন চাকমা, সাংস্কৃতিক কর্মী শিশির চাকমা। বক্তব্য রাখেন, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি জুয়েল চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির নেতা অরুন ত্রিপুরা ও হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী রীনা চাকমা। স্বাগত বক্তব্যে রাখেন শ্যাম রতন চাকমা।

রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন তালুকদার বলেন, পার্বত্য চুক্তির দুই দর্শক পেরিয়ে গেলেও পাহাড়ে এখনো শান্তি ফিরে আসেনি। পার্বত্য চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ের মানুষের মধ্যে দিন দিন হতাশা ও সংকটময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তি বাস্তবায়নের কাজ চলমান বলা হলেও চুক্তি পুর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে অগ্রগতি তেমন চোখে পড়ার মতো নয়। এখানে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং আলাদা শাসন ব্যবস্থা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে রূপ দেয়ার লক্ষ্যে এখনো সেটা আশাব্যঞ্জন রূপ দেখা যায়নি। বিশেষ করে চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো অর্থাৎ সাধারণ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা, স্থানীয় পুলিশ, বন ও পরিবেশ এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে রয়েছে। এই বিষয়গুলো অতি শীঘ্রই জেলা পরিষদের হাতে হস্তান্তরিত করে, জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে ক্ষমতায়ন করে এখানে স্থানীয় শাসন বা জনগণের শাসন প্রবর্তন করা উচিৎ।

Exit mobile version