চেয়ারম্যান পদে দুই দলের দুই তরুণ প্রার্থীর লড়াই
নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া:
বি এন পির অধুষ্যিত এলাকা নামে পরিচিত পেকুয়া। আসন্ন পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বি এন পি ও আ’লীগ এ দুই দলের মনোনীত দুই তরুণ প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান পদ নিয়ে তমুল লড়াই করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ দুই দলের প্রার্থীদের নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। উপজেলা আনাছে কানাছে গণসংযোগ থেকে শুরু করে ভোট প্রার্থনা এবং পেকুয়াবাসীর সেবা করা দূর্ণীতি মুক্ত পেকুয়া গড়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
এ তরুণ দুই প্রার্থী একজন হচ্ছেন বি এন পি সমর্থিত ও চকরিয়া – কুতুবদিয়া আসনের সাবেক সফল সাংসদ বি এন পির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বীরমুক্তিযুদ্ধা মরহুম মাহামুদুল করিম চৌধুরীর পুত্র জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি পেকুয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক বর্তমান সফল উপজেলা চেয়ারম্যান ও বি এন পির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সাবেক সফল মন্ত্রী আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাফায়েত আজিজ রাজু। তিনি তার পিতার রাজনৈতিক আদর্শ এবং রাজনৈতিক গুরু সালাহউদ্দিন আহমদের লালিত স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানের পদে বিজয়ীই হাওয়ার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যে তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে পেকুয়ার ৭টি ইউনিয়নে ব্যাপক গনসংযোগ এবং পথ সভা সাধারণ মানুষের সাথে কৌশল বিনিময় করে যাচ্ছেন। তার পদচারণায় নেতাকর্মীরা মূখর করে তুলেছে পাড়া মহল্লায় সাড়া জাগিয়ে তুলেছে“ আসছে আপনাদের কাছে আপনাদের সন্তান রাজু”। বিগত ৫ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন কালে সময়ে অসময়ে ছুটে গিয়েছিল গরীব অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দিয়েছেন সাহায্যর হাত বাড়িয়ে। বিগত ৫ বছরে তিনি পেকুয়ার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টান এবং মাদ্রাসা মসজিদে অনুদান দিয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি রাস্তা কালভার্ট নিমার্ণ করেছেন। তিনি অপ্রাণ চেষ্টা করেছেন পেকুয়ার মগনামা উজানটিয়াবাসীর অতিকষ্ট ক্ষেত্র বেড়িবাধঁ নিমার্ণে। নিমার্ণ কাজে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের চাঁদা দাবী করায় শেষ পর্যন্ত বেড়িবাঁধ নিমার্ণ করতে বাধায় পড়েন। তবে এলাকায় রাজুর বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিনি দিন দিন আরো জনপ্রিয়তা লাভ করে যাচ্ছেন।
এদিকে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আরেক তরুণ প্রার্থী সাবেক বৃহত্তর বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সফল চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের প্রয়াত সভাপতি মরহুম ছাদেকুর রহমান ওয়ারেচীর পুত্র শীলখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী। তিনি তার পিতা মরহুম ছাদেকুর রহমান ওয়ারেচীর রাজনৈতিক আদর্শ কে ধারণ করে নির্বাচনী মাঠে আসছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার পিতা মরহুম ছাদেকুর রহমান ওযারেচী বি এন পির প্রার্থী রাজুর সাথে হাড়াহাড়ি লড়াই করে পরাজিত হয়। তার পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে তিনি লড়াই করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেকুয়ার ৭টি ইউনিয়নে ব্যাপক গনসংযোগ এবং পথ সভা সাধারণ মানুষের সাথে কৌশল বিনিময় করে যাচ্ছেন। তার পদচারণায় দলীয় নেতাকর্মীরা মূখর করে তুলেছে পাড়া মহল্লায় সাড়া জাগিয়ে তুলেছেন “ আসছে আপনাদের কাছে আপনাদের এতিম সন্তান ওয়াহিদ”।
তবে সাধারণ ভোটারা মনে করেন এ তরুণ প্রার্থী দুইজনই এতিম। বলতে গেলে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এতিম দুই তরুণ সন্তানের লড়াই জমেউঠেছে দিন দিন। তবে চেয়ারম্যান পদে তরুণ দুই প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচয় লাভ করেছেন রাজু। এদিকে ওয়াহিদও তার পিতার পরিচয়ে পরিচিত হয়ে উঠছেন। তবে জমে উঠেছে এখন তরুণ এই দু প্রার্থীর প্রচার প্রচারণা। তবে থেমে থাকেনি প্রচার প্রচারণায় কেউ। দু প্রার্থীর মধ্যে হাড়াহাড়ি লড়াই হবে এমন আভাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গতবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ওযাহিদুর রহমান ওয়ারেচী বি এন পির প্রার্থী নুরুল হোছাইনের কাছে পরাজিত হয়। তিনি এবার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে বি এন পির সমর্থিত প্রার্থীর সাথে লড়াইতে যোগ দিয়েছেন। তার পরও এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছেন তার পিতার পরিচয়ে। এ দুই প্রার্থী বৃষ্টি ওপেক্ষা করে মাইলের পর মাইল গণসংযোগ এবং মতবিনিময় সাধারণ মানুষের সাথে কৌশল বিনিময় করে যাচ্ছেন।
এ দুই তরুণ প্রার্থী লড়াই করে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হবেন। আর কে হচ্ছেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদের ২য় নির্বাচিত চেয়ারম্যান সেই অপেক্ষায় এখন আছেন পেকুয়াবাসী। আপনার কি অবস্থা এখন পরিস্থিতি কি ধরণের বিজয় হওয়ার আশা সম্পকে জানতে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাজু বলেছেন ইনশাল্লাহ আমাকে পেকুয়াবাসী ভুলবেনা। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াহিদ বলেন আমার পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য আমি প্রার্থী হয়েছি আমার পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে তার সন্তান হিসাবে ইনশাল্লাহ পেকুয়াবাসী আমাকে ভুলার নই।