parbattanews

চৌফলদন্ডীর ইয়াবা পাচারকারী পটিয়ায় গ্রেফতার

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের অভিযানে সহস্রাধিক ইয়াবাসহ কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডীর মো. ইয়াসিন নামের আরেক এক ইয়াবা পাচারকারী গ্রেফতার হয়েছে।

রবিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম খ-সার্কেল(পটিয়া) শাখা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দপ্তরের উপপরিচালক হুমায়ুন কবির খন্দকারের নির্দেশে পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার মোজাফরাবাদ এনজে উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীত পার্শ্বে মহাসড়কের উপর চট্টগ্রামগামী চট্টমেট্রো-ব-১১-১১৫৯ নাম্বারের মার্সা নামীয় যাত্রীবাহী বাসের বি-০৪ সিটে থাকা যাত্রীর দেহ তল্লাশী করেন।

তল্লাশী করে ১ হাজার ৫ শত ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক পাচারকারীকে হাতেনাতে আটক করে।

পরে ধৃত কারবারী ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম কর্নেল হাটে নিয়ে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।

আটক আসামীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

ধৃত আসামি নিজেকে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাড়ার মৃত আব্দুস শুক্কুরের ছেলে মো. ইয়াছিন বলে পরিচয় দেয়।

উল্লেখ্য, বিগত ১৬ জুলাই একই ইউনিয়নের ফয়সাল নামের আরেক ইয়াবা পাচারকারী কক্সবাজার শহরে ২ হাজার পিচ ইয়াবাসহ আটক হয়।

স্থানীয়রা জানান, চৌফলদন্ডী নদী ও এর পাশ দিয়ে উপকূলীয় সড়ক থাকায় চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদাররা ইয়াবা পাচারের নিরাপদ জোন হিসেবে উক্ত এলাকার নদীপথ ও সড়ক পথকে বেঁচে নিয়েছে।

যার কারণে গডফাদাদররা ইয়াবার চালান স্থানীয়দের কাছ থেকে নিরাপদ রাখতে বহিরাগত পাচারকারীদের মাধ্যমে পাচার না করে স্থানীয় যুবকদের চালান কিংবা কমিশন ভিত্তিক লোভনীয় চুক্তিতে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাচার করে আসছে।

বেকার যুবকরা রাজনৈতিক পরিচয়কে ঢাল হিসেবে সামনে রেখে দিন দিন এ অপকর্মে আশংকাজনক হারে জড়িয়ে পড়ছে।

ইতোমধ্যে এলাকার অসংখ্য যুবক ইয়াবা গডফাদারদের খপ্পরে পড়ে জেল হাজতে গেলেও ভাল মানুষের মুখোশধারী প্রকৃত ইয়াবা গডফাদারদের কেউ এখনো পর্যন্ত আটক হয়নি।

তারা ধৃত এসব যুবকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আসল গডফাদারদের মুখোশ উন্মোচন করে তাদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারির দাবি জানান।

Exit mobile version