parbattanews

ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে শিক্ষককে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে আমির হোসেন (২৮) নামের এক শিক্ষককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে এ সাজা দেন। সে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মলহাবান এলাকার নজির আহমদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, আমির হোসেনের বাড়ি টেকনাফ উপজেলায়। সে গত পনের মাস আগে টইটং জামিয়াতুল আল আফকার নুরানী মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সে মাদরাসার একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে অশালীন আচরণ করেন ও ছাত্রীদের নিয়ে খারাপ কর্মকাণ্ড মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করেন। পরে ব্ল্যাক মেইলিং করে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতো। ভিকটিম শিক্ষার্থীর খারাপ একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। তবে ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে অন্য মাদরাসায় পড়ালেখা করছে।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা ও পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ফরহাদ আলী এবং টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর অভিভাবক ও ওই শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। পরে ওই শিক্ষকের মোবাইল ফোনে ইভটিজিং এবং উত্যক্তের মোবাইলে ধারণকৃত বিভিন্ন ভিডিও চিত্র পাওয়া যায়। এসময় ওই মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পুলিশ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আমির হোসেন (২৮) কে টইটং জামিয়াতুল আল আফকার ইসলামীয়া নুরারী মাদরাসা থেকে আটক করেন।

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ফরহাদ আলী জানায়, আমির হোসেন নুরারী মাদরাসার শিক্ষক। ওই মাদরাসার এক শিক্ষার্থীকে সে প্রায় সময় উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বিতা চাকমা বলেন, সে একজন মাদ্রাসার শিক্ষক তাও মৌলভী। আমরা তাদের বিশ্বাস করি কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা এ ধরণের ইভটিজিং ও উত্ত্যক্তের হয়রানি হবে তা কখনো মেনে নেওয়া যায় না। সে তার মুঠোফোনে এক ছাত্রীর অশালীন ভিডিও ধারন করে। পরে ব্ল্যাক মেইলিং করার সত্যতা পাওয়ায় তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছি।

Exit mobile version