parbattanews

ছাদিকুল হত্যাকারীদের গ্রেফতারে ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মহালছড়িতে মানববন্ধন, হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আশ্বাস প্রশাসনের

Khagrachari Pic (1) copy

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক ছাদিকুল ইসলামকে হত্যা ও পাহাড়ি সন্ত্রাসীগুলোর অব্যাহত চাঁদাবাজির প্রতিবাদে  ফুসে উঠেছে খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলাবাসী। ছাদিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ড ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার সকালে মহালছড়িতে প্রায় পৌঁনে এক কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন করেছে হাজারো জনতা। এ মানববন্ধন থেকে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনা না হলে হরতাল-অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রশাসন হত্যাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, খাগড়াছড়ি জেলাবাসী দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফ, জেএসএস ও জেএসএস(এমএন) এ তিন গ্রুপের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ট। চাঁদার শ্রমিক অপহরণ, হত্যা, গুম, পণ্যবাহী গাড়িতে গুলি বর্ষন ও অগ্নিসংযোগ  এখানে যেন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ গত ১০ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক ছাদিকুল ইসলামকে  (২৩) দুই উপজাতি মহালছড়ি বাসস্ট্যান্ড থেকে রাঙ্গামাটির ঘিলাছড়ি উদ্দেশ্যে ভাড়া করে নিয়ে যায়। কিন্তু ছাদিকুল ইসলাম আর ফিরে আসেনি। তিনি নিখোঁজের পর বৃহস্পতিবার বিকালে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলার ঘিলাছড়ি এলাকায়  ছাদিকুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত লাশ মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায়  পাওয়া যায়।

এদিকে শনিবার সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন  মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ পরিদর্শনে আসলে হাজারো জনতা প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠে। বিক্ষুব্ধ জনতা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে এবং ছাদিকুল ইসলাম হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলামকে স্বারকলিপি দেয়।

স্বারকলিপি গ্রহণকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক ছাদিকুল ইসলাম হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম  বলেন, বিষয়টি সরকারের তরফ থেকে আমরা গভীর পর্যবেক্ষনে রাখছি এবং মনিটরিং করছি। বিষয়টি আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি হবে।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত ছাদিকুল ইসলামের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম, বাঙালি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি সাহাদাত হোসেন, মহালছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক মাসুদ, ছাত্রলীগের সভাপতি জিয়াউর রহমান, ইউপি মেম্বার মো. আনোয়ার হোসেন ও সাবেক ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম।

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি বজায় থাকুক এ প্রত্যাশা এ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় মানুয়ের।

Exit mobile version