parbattanews

ছেলেকে বাঁচাতে পানছড়ির এক অসহায় বাবার আকুতি

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দমদম (বটতলা) গ্রামের দেলোয়ার হোসেন পেশায় একজন চা দোকানের শ্রমিক। সারাদিন চা দোকানে গাধার খাঁটুনি খেটে যা পায় তা দিয়েই কোন রকম টেনে টুনে সংসার চলে। তার মাঝে আবার ছেলে মো. ফারুক আহাম্মদ (৩০) দীর্ঘ বছর ধরে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে বিছানায়। এরই মাঝে দু’দফায় ছেলের অপারেশন হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মতে তৃতীয় বার অপারেশন করাতে হবে।

বর্তমানে দুই হাতসহ শরীরের নিচের অংশ অবশ অবস্থায় মানবেতর দিন যাপন করছে। যার ফলে বিছানার মধ্যেই খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছু করতে হচ্ছে। এরই মাঝে ছয় লক্ষাধিক টাকা শেষ। চিকিৎসার জন্য আরো পাঁচ লক্ষাধিক টাকার দরকার। বাবা দেলোয়ার হোসেন ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন সর্বহারা। প্রিয় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে সহায় সম্বল বলতে আর কিছুই নেই। বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সবার কাছে সহযোগিতা চেয়ে আকুতি জানাচ্ছেন। বিছানায় শুয়ে দু”চোখ মেলে ফারুকও ইশারাতে বুঝায় বাঁচার আকুতি।

এলাকার জুয়েল ও আনোয়ার জানান, ছেলেটির মা নেই। কাজ-কর্ম বন্ধ রেখে বাবাকেই সব সামলাতে হচ্ছে। নিজের চোখের দেখা সুস্থ সবলদেহী ছেলেটার আজ কি করুণ অবস্থা। সকলে সহযোগিতার হাত বাড়ালে সু-চিকিৎসা পেয়ে ছেলেটি সুস্থ হয়ে হয়তো আবারও স্বাভাবিক জীবন ফিরবে।

ফারুকের দাদী সায়েরা খাতুন জানান, নাতীর চিকিৎসায় আমাদের সব শেষ। বর্তমানে ঔষধ কেনার টাকা পর্যন্ত নেই। প্রিয় নাতীকে বাঁচাতে দাদীও সবার কাছে সহায়তা চাইলেন।

পানছড়ি প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো: হানিফ জানান, বর্তমানে পরিবারটি খুবই অসহায়। সকলে মিলে একটু একুট করে সহযোগিতা করলে ছেলেটির চিকিৎসা ও ঔষধ খরচ হবে। এ ব্যাপারে সকলের কাছে তিনিও সহযোগিতা চাইলেন।

Exit mobile version