জঙ্গির কবর থেকে লাশ উধাও, পাওয়া গেল কম্বল
বান্দরবানের দুর্গম এলাকা থেকে গত ১১ জানুয়ারি পাঁচ জঙ্গিকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে র্যাবের সদস্যরা তাদের মধ্যে দুজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত এক জঙ্গির লাশ কবর থেকে উদ্ধার করতে যান।
কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে কবর খুঁড়ে লাশের বদলে ‘কম্বল’ পেয়েছেন তারা।
রবিবার (১৫ জানুয়ারি) হেলিকপ্টার নিয়ে সেখানে পৌঁছে কবর খুঁড়ে অন্যান্য আলামত পেলেও লাশের কোনো সন্ধান পায়নি তারা।
র্যাব দাবি করছে, তারা সেখানে পৌঁছানোর আগেই অন্য কোনো জঙ্গি সংগঠন কিংবা পার্বত্য চট্টগ্রামে নবগঠিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ লাশটি তুলে নিয়ে যেতে পারে।
রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন শিবলী র্যাবের সঙ্গে লাশ উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন। এ বিষয়ে আজ তিনি সাংবাদিকদের জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মরদেহ উত্তোলনের জন্য তারা সেখানে গিয়েছিলেন।গ্রেফতারকৃত দুই জঙ্গি কবরস্থান দেখিয়ে দেয়। কিন্তু কবর খুঁড়ে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘আমরা সামান্য কিছু আলামত পেয়েছি। সেগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু এসব আলামত দেখে ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব নয়।’
রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, রুমা উপজেলার রেমাক্রি-প্রাংশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত লুংয়ংমুয়াল পাড়া থেকে কিছুটা দূরে এ কবরের অবস্থান। আদালতের নির্দেশ পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে তিনজন পুলিশ সদস্যকে পাঠানো হয়। মরদেহ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে ফিরে আসা পুলিশ সদস্যরা তাকে জানিয়েছেন, কবর খুঁড়ে মরদেহের পরিবর্তে একটি কম্বল পাওয়া গেছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নতুন জঙ্গি সংগঠনে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঘরছাড়া ৫৫ জন যুবক পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সহযোগিতায় পাহাড়ে গোপন আস্তানায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তাদের মধ্যে গত ১১ জানুয়ারি অভিযানে রোয়াংছড়ি থেকে ২ জন এবং থানচি থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক অভ্যন্তরীণ মতবিরোধে হত্যা করা এক জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধারে পাহাড়ের গহীন অরণ্যে অভিযান চালানো হয়।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া ১২ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতা করায় সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের ১৪ জন সদস্যকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। রাঙামাটি থানায় দায়ের করা জঙ্গি মামলায় অভিযুক্ত আসামি তারা।