parbattanews

টইটংয়ে ফাঁকা গুলি বর্ষণ, জনমনে আতংক


পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ার টইটং ইউনিয়নের আবাতিঘোনা এলাকায় ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং এলাকার সাধারণ জনগনের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। সোমবার (৭ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।
বারবাকিয়া ইউপির এক সদস্য এ ঘটনাকে পুঁজি করে নিরীহ লোকদেরকে আসামী করার জন্য থানায় দৌড়ঝাপ শুরু করেছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ।
আবাতিঘোনা এলাকার বাসিন্দা আবদু রহিম, করিমদাদ জানিয়েছেন, টইটং আর বারবাকিয়ার সীমান্ত এলাকা হচ্ছে আবাতিঘোনা। এ এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করছে বারবাকিয়ার ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম। তার বাহিনী নিয়ে পাহাড়ে গাছ কর্তন, সরকারী ভূমি জবর দখল করতে প্রতিদিন ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এ বিষয়কে পুঁজি করে নিরীহ লোকদের আসামী করে বসতবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য করে। পরে তিনি ওই জমি জবর দখল করেন। বিগত কিছুদিন আগে আমাদের দীর্ঘ ৩০ বছরের বসতবাড়িতে তাণ্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও ৫/৬ জনকে গুরুতর আহত করে। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছে। ফাঁকা গুলি বর্ষণ যখন হচ্ছে আমরা তখন পেকুয়া সরকারী হাসপাতালে আত্বীয় মনোয়ারাকে নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এখন শুনতেছি ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনায় আমাদেরকে জড়িয়ে থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করলে আসল ঘটনা রহস্য বের হয়ে আসবে। জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ১২/১৩টি মামলা চলমান থাকলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াছে।
টইটং ধনিয়াকাটার আজগর আলী বলেন, জাহাঙ্গীর আলম একজন দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তাকে সবাই বনের রাজা হিসাবে জানে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যা বের কার্যালয়, ডিআইজি, মহা বনসংরক্ষক, এসপিসহ স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা গুলি বর্ষণ তার জন্য নিয়মিত ব্যাপার। রাতে সে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে নিরীহ লোকদের আসামী করার জন্য এনতাহারু নামের এক মহিলাকে ভাড়া করেছে। তাকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার পায়তারা করছে।
টইটং ইউপির সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আবছার বলেন, বনের রাজা জাহাঙ্গীর আলমের অত্যাচারে টইটং আবাতিঘোনা ও বারবাকিয়ার পাহাড়ি অঞ্চলের লোকজন অতিষ্ট। তার হাত থেকে আমরা পর্যন্ত রেহায় পায়নি। নিরীহ লোকদের বসতবাড়ি কেড়ে নেওয়া ও মামলার আসামী করা সামান্য ব্যাপার। তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে জোর দাবী তাকে আইনের আওতায় আনা হউক।

Exit mobile version