জনসমাগমের মধ্যে রাজস্থলীতে প্রতিমা বিসর্জন
রাঙামাটির রাজস্থলী বাজার হরি মন্দির সংলগ্ন পুকুরে শত শত পাহাড়ি-বাঙালি আর ভক্তদের উপস্থিতিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে দুর্গোৎসবের। ধরণীতে থাকা তার সন্তানদের আশীর্বাদ করে কৈলাসে ফিরে গেলেন দেবী দুর্গা। এ উপলক্ষে নেয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বুধবার (৫ অক্টোবর) ছিল প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া দশমী। সকাল থেকে রাজস্থলী উপজেলার তিনটি মন্দিরের পূজামণ্ডপগুলোতে বিরহের সুর বেজে ওঠে। মা দেবী দুর্গা ফিরে যাবেন কৈলাসে সন্তানদের আশীর্বাদ করে।
সকাল তিনটি পূজামণ্ডপে ভক্তদের মাকে বিদায় দেওয়ার অশ্রুসিক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে দেখা যায়। বিকালের পর থেকে রাজস্থলী হরি মন্দির মণ্ডপ থেকে প্রতিমা বহনকারী ভ্যানগাড়ি নিয়ে শোভা যাত্রার পর পুকুরের দিকে আসতে থাকে। পুরো উপজেলা জুড়ে নেয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিমা বিসর্জন হলেও বাজার পুকুরে নানা ধর্ম-বর্ণ মানুষের মিলন ঘটে। বিকেল ৪টার পর বাজার পুকুরে থেকে মোড় পর্যন্ত সনাতন ধর্মাবলম্বী, পাহাড়ি-বাঙালির আগমন ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
বিসর্জন দেখতে আসা তাইতং পাড়া এলাকার সামাপ্রু মারমা বলেন, আমরা বন্ধু-বান্ধব প্রতিবছরই বিসর্জন দেখার জন্য এ মন্দিরে আসি। এবারও এসেছি। অনেক ভালো লাগছে।
রাজস্থলী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শম্ভু নাথ বলেন, আমরা চেষ্টা করি শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জন শেষ করতে। নানা ধর্ম-বর্ণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা এটা করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে।
তিনি বলেন, আরো দুইটি মন্দিরের মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে।