জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়া নিয়ে চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদে দুইপক্ষের সংঘর্ষে চেয়ারম্যানসহ আহত ৬

fec-image

জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়া নিয়ে চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় চেয়ারম্যানসহ উভয়পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে দুইপক্ষই। রবিবার (৩০ মে) দুপুর বারোটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বেতুয়ারকুল গ্রামের মীর কাশেমের তিনপুত্র যথাক্রমে ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন রানার নাম উল্লেখসহ ৬ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হয়। পাল্টা এজাহার দেওয়া হয় অপরপক্ষের মো. রুবেল বাদী হয়ে। সেই এজাহারে পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, পাওয়েল, ইলিয়াছ, মো. রুবেল, মো. রাশেদসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থানায় দেওয়া এজাহারে দাবি করেছেন, আসামিগণ অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কার্ড পাওয়ার আবেদন ফরম তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার শহীদুল মোস্তফা রুবেলের হাতে দেয়। সেই ফরম রুবেল পরিষদের সচিবের কাছে প্রেরণ করলে তা নিয়মানুযায়ী ইউএনওর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আসামিগণ রবিবার দুপুরে হঠাৎ পরিষদ কার্যালয়ে এসে তাণ্ডব ও লুটপাট চালায়। এ সময় চৌকিদারসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসলে তাকেও (চেয়ারম্যান) আক্রমণ করে আসামিরা। এ সময় পরিধানের কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলে তারা। ঘটনার সময় কয়েকটি মোবাইল ও নগদ টাকা লুট করে। আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পরিষদের। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ তাঁর পক্ষের চারজন আহত হয় বলে এজাহারে দাবি করা হয়।

অপরদিকে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের জন্য আবেদনকারী মো. রুবেল দাবি করেছেন, তার তিন শিশুর জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য চেয়ারম্যানের ড্রাইভার শহীদুল মোস্তফা রুবেলকে নগদ ৯৭০ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জমা দেন। কিন্তু সেই কার্ড কখন পাবে সেটা জানতে গেলেই আসামিরা তার (বাদী) ওপর চড়াও হয় এবং আক্রমণ করে। এমনকি পরিষদের ভেতরে তাকে অবরুদ্ধ করার খবর পেয়ে তার ভাই ফরহাদ এগিয়ে আসলে তাকেও আক্রমণ করে। এতে তারাও রক্তাক্ত জখম হয় এবং অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বাদী ও তার ভাই ফরহাদও রক্তাক্ত জখম হয় বলে দাবি করা হয়।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘটিত ঘটনার বিষয়ে উভয়পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করার জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুইপক্ষের অভিযোগের সত্যতা পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন