parbattanews

জমি অধিগ্রহণে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন

মহেশখালীর সাধারণ লবণ শ্রমিক ও জমির মালিকগণ কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেলা ১২টায় লবণ মাঠের জমি অধিগ্রহণে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন স্বারকলিপি প্রদান করেছেন ।

মানবন্ধনে জনতার দাবি ছিল কালারমারছড়া ইউনিয়নের ঝাপুয়া মৌজা, কালিগঞ্জ মৌজা, কালারমারছড়া ও ইউনুছখালী মৌজার প্রায় ১৪ শত একর জমি অধিগ্রহণের মূল্য ন্যায্যভাবে প্রদান করতে হবে।

উপস্থিত বক্তাদের দাবি ছিল একর প্রতি আড়াই কোটি টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
পাশাপাশি অধিগ্রহণের কারণে শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কর্মহীন হয়ে পেশা হারাবে তাদেরও পুনর্বাসন করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, জমিতে দণ্ডায়মান ফসল, লবণ, মৎস্য শিল্পের সাথে জড়িত ক্ষতিগ্রস্থ লোকদের তালিকা প্রস্তুত করে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনা এলএ ৩/২০১৮-১৯ ইং মামলার ১৪ শত একর জমিকে শিল্প ভূমি হিসাবে গণ্য করা, অধিগ্রহণকৃত মৌজার জমিতে স্থিত অবকাঠামোর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ করা।

খাস জমি ও বেড়ী বাঁধের উপর বসবাসরত ভূমিহীনদের অবকাঠামো নির্ধারণ করে তাদেরও ক্ষতিপূরনের আওতায় নিয়ে আসা, অধিগ্রহণকৃত জমির আয় উপার্জনের সাথে জড়িত লবনের বর্গা চাষি, কার্গো বোটের মালিক ও মাঝি মাল্লা, লবণ বহনকারী শ্রমিক, চিংড়ী চাষের হালিয়া, মাটিকাটা শ্রমিকg

লবণ ও চিংড়ী ব্যবসার সাথে জড়িত সকল ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুতসহ পেশাজীবিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুর্নবাসন করা, সরকারের নামে ভুলভাবে রেকর্ডিয় খাস জমি (অধ্যায় ২৫ ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল ধাপে ধাপে ) ধারা ১০১ উপধারা ঘ মতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব কর্তৃক যথারীতি মিচ কেইচ চালু করে যথাযথ শুনানী ও নিরীক্ষান্তে উপযুক্ত মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিত করাg

ক্ষতিপূরণের চেক অধিগ্রহণকৃত এলাকায় স্ব স্ব জমির মালিক ও খতিয়ানভুক্ত এলাকার মানুষের তালিকা সমেত প্রকৃত মালিকদের হাতে হাতে হস্তান্তর করা।

ক্ষতিগ্রস্থ জনতার ন্যায্য দাবি আদায় পরিষদ কালারমারছড়ার ব্যানারে আয়োজিত মানবন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণির পেশার প্রায় ২ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মোর্শেদ বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় যে মূল্য প্রদান করা হচ্ছে তা খুই সামান্য। তাই আমাদের ভবিষ্যত জীবন জীবিকার নিশ্চিতের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করে মানববন্ধন করে নিজেদের দাবি দাওয়া এবং সমস্যার কথাগুলো বলছি।

Exit mobile version