মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে অ্যামনেস্টির আহ্বান

fec-image

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানোসহ দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের নানা প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের মাধ্যমে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) আরাকান রাজ্যে চালানো নির্যাতনের প্রমাণের নানা ছবি, ভিডিওসহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তারা।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি রিজিওনাল ডিরেক্টর ফর ক্যাম্পেইনিং মিং ইউ হা বলেছেন, বর্তমানে আরাকান ও শাইন রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের কোনো লক্ষণ চোখে পড়ছে না। তা সত্ত্বেও সেখানে প্রচুর বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। এর থেকে প্রমাণ হচ্ছে, মিয়ানমার সরকার আরাকানের মানুষদের কতটা অবহেলার চোখে দেখছে। এর ফলে সেখানে সহিংসতা বেড়েই চলেছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে শাইন এবং রাখাইন রাজ্যে ছিনতাই ও বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনাটি ছিল গত ১৮ সেপ্টেম্বর; ৪৪ বছর বয়সী এক নারী সামরিক ঘাঁটির কাছে বাঁশ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাইন বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। আরেকটি ঘটনা ঘটে গত ৮ সেপ্টেম্বর। মায়াবোন শহরতলিতে সামরিক বাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়েছেন মা ও মেয়ে।

মেয়েটির বাবা অ্যামনেস্টিকে জানিয়েছেন, আকস্মিক আক্রমণ হয়েছিল। তবে সেখানে আরাকান বিদ্রোহীদের কেউ ছিল না। গ্রামবাসী মনে করছেন, তাদের নিকটস্থ সামরিক ঘাঁটি থেকে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

অ্যামনেস্টির স্যাটেলাইট বিশ্নেষণে উঠে এসেছে, সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে মধ্য রাখাইনের একটি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাখাইনের একটি গ্রামে আক্রমণ চালায় সেনারা। ওই সন্ধ্যায় সামরিক বাহিনী দু’জনকে গ্রেপ্তার করে এবং পরদিন সকালে তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। আর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন বলেছেন, আরাকান সেনাবাহিনী তাদের সামরিক ঘাঁটির পাশেই একটি গাড়ির ওপর অ্যাডভান্সড এপপ্রেসিভ ডিভাইস (আইইডি) দিয়ে আক্রমণ করেছিল।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার, সেনাবাহিনী
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন