parbattanews

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি পর্বতের নাম আর শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর: কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা

গুইমারা প্রতিনিধি:

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের  উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।

১৬ আগস্ট বুধবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে গুইমারা ১নং সদর ইউপি চেয়ারম্যান মেমং মারমার সঞ্চালনায় এই দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার কার্যক্রম শুরু হয়ে দুপুর ২ টায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বাধীন গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক কাঙালী ভোজের মাধ্যমে শেষ হয় ।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও পার্বত্য টাস্কফোর্স এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, রনবিক্রম ত্রিপুরা , বাসন্তি চাকমা, মংশেপ্রু চৌধুরী অপু , আ. জব্বার, খাগড়াছড়ি জেলা মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।

এছাড়া গুইমারা, মাটিরাংগা, মানিকছড়ি,  রামগড়, পানছড়ি আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি পর্বতের নাম, শেখ হাছিনা একজন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর, তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন। সারা বাংলাদেশের ন্যায় গুইমারা উপজেলাকেও উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা পাহাড়ে শান্তি চাই, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। পার্বত্য অঞ্চলের প্রতিটি ঘরের খবর নিচ্ছেন শেখ হাসিনা। যার প্রমাণ বিজিডি, বিজিএফ, ও ন্যায্য মূল্যের ১০টাকার চাউল। দেশের প্রতিটি মানুষের মনে শেখ হাসিনা আছেন। এই গুইমারার ৩টি ইউনিয়নে যে পরিমান উন্নয়ন আমরা করেছি বিএনপির আমলে পুরো খাগড়াছড়ি জেলাতেও এই পরিমান উন্নয়ন করতে পারে নাই। খালেদা জিয়ার চেয়ারা সুন্দর কিন্তু সে মিথ্যা বাদী মানুষ হত্যা  করে বিএনপি জামাত অপচেষ্টা চালিয়ে ক্ষমতা যাওয়ার যে স্বপ্ন দেখছে তা বাস্তবায়ন হবে না।

আলোচনা সভায় বক্তব্য কালে বেশীর ভাগ নেতাই অভিযোগ এনে বলেন পাহাড়ী বাঙ্গালী সম্প্রদায়িক উস্কানী দিয়ে একটি মহল পার্বত্য অঞ্চলে নিজেদের ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। এ থেকে সকল পার্বত্যবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের আগমন উপলক্ষ্যে যে পরিমান লোক সমাবেশে হওয়ার কথা ছিল তার তুলনায় অনেক কম হয়েছে বৈরী আবহওয়া ও ইউপিডিএফ এর বাধার কারণে এমন হয়েছে বলে জানা যায়। ৪ হাজার লোকের জন্য কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হলেও লোকের সমাগম হয়েছে ২ হাজারের মত।

Exit mobile version