parbattanews

জাতিসংঘে গাজায় ‘মানবিক বিরতির’ প্রস্তাব পাশ

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে সাড়া দেয়ার চারটি ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর এবার গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে ‘মানবিক বিরতির’ প্রস্তাব গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। এ প্রস্তাবে অবিলম্বে জিম্মিদের নিঃশর্ত মুক্তিরও আহ্বান জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) মাল্টার উত্থাপিত প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত হয়ার খবরটি জানিয়েছে আল জাজিরা।

জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ সদস্য প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়া।

প্রস্তাবটিতে প্রতিটি বেসামরিক নাগরিকের কাছে সাহায্য পৌঁছার জন্য পর্যাপ্ত সময় মানবিক বিরতির কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবটির প্রায় প্রতিটি প্যারাগ্রাফে শিশুদের কথা বলা হয়েছ্

মাল্টার উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে সকল বন্দীর মুক্তি এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মৌলিক সামগ্রী ও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা থেকে বিরত থাকার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ও বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নিচে আটকরা পড়াদের উদ্ধারের কাজ জরুরিভিত্তিতে শুরু করার আহ্বানও জানানো হয়। তাছাড়া ফিলিস্তিনিদের বলপূর্বক উচ্ছেদের কথাও এতে প্রত্যাখ্যান করা হয়।

ভোটের আগে রাশিয়ার প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবানজিয়া ‘অবিলম্বে, টেকসই ও স্থায়ী মানবিক বিরতির আহ্বান জানান, যা পরে বৈরিতার অবসান ঘটাবে।’ তবে পরিষদ তা ভোটে বাতিল করে দেয়, মাত্র পাঁচ সদস্য এর পক্ষে ভোট দেয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়ই গাজা সঙ্ঘাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে একে অপরকে অভিযুক্ত বা একে অপরের প্রস্তাবে বাধা দিয়ে আসছে।

আল জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেস বলেছেন, আমি মনে করি এটি ইসরায়েলের উপর অতিরিক্ত চাপ বাড়াবে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি পাসে বাধা দেয়নি। দেশটি চাইলে ভেটো দিয়ে প্রস্তাবটি আটকে দিতে পারত।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়। এ ছাড়া হামাস যোদ্ধারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে বলে ইসরায়েলের দাবি।

হামাসের হামলার জবাবে ঐ দিন থেকে গাজায় বিরামহীন বর্বর ও পৈশাচিক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার হামলায় গাজায় প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের আট হাজারের বেশি নারী ও শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলি সর্বাত্মক অবরোধে গাজায় খাবার, পানি ও ওষুধের অভাবে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা ও আরব নিউজ

Exit mobile version