parbattanews

জাতীয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে: ওবায়দুল কাদের

Bandarban pic-2, 18.4

স্টাফ রিপোর্টার:

সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করতে হবে। শান্তি ও উন্নয়নের জন্য পার্বত্য শান্তি চুত্তির শর্ত অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করা হবে।

শনিবার দুপুরে বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের দোস্তিরহাট এলাকায় হাঙ্গর ব্রীজের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকার নানা ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আগামী দু-এক বছরের মধ্য সংযোগ সড়কগুলো চালু হলে এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে উদ্দেশ্য করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, আপনি শান্তি চুক্তি সম্পাদনের অন্য প্রান্তের মূল নেতা ছিলেন। শান্তি চুক্তি সম্পাদনের আগে ও পরে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন-অগ্রগতি মিলিয়ে দেখুন। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে ডেটলাইন দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আওয়ামী লীগ সরকার চুক্তির শর্ত অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করবে।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরী, জেলা পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য্য, জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী কাজী মুজিবর রহমান, জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ’সহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ১৪৪টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে এর মধ্য বান্দরবানে তিনটি চিহ্নিত করা হয়েছে। একনেকে এরজন্য একশ’ ৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শিঘ্রই এগুলোর দরপত্র আহবান করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎপাদিত ফল ও ফসল আরো সম্প্রসারণ করে কাঁচামাল যাতে পচে না যায় তা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, হাঙ্গর খালের উপর ২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুর দু’পাশে রাস্তার চল্লিশ মিটার করে আশি মিটার এপ্রোস কাজ চলছে। আগামী মে মাসে সেতু এবং সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

Exit mobile version