parbattanews

জাতীয় গ্রীড লাইনের মাধ্যমে রাঙামাটির বরকলে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম শুরু

Rangamati Pic-03-12-15-04

স্টাফ রিপোর্টার:
রাঙামাটির প্রত্যান্ত ও দূর্গম উপজেলায় বরকলে জাতীয় গ্রীড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। একটা সময় দূর্গমতার কারণে প্রত্যন্ত উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ছিল। অন্ধকারে জীবনযাপন করতো পাহাড়ের হাজার হাজার মানুষ।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৯ সালে পানিবিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে খড়স্রোতা কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বৃহৎ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এ জেলাতেই স্থাপিত হয়েছে। সে সময় ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ সৃষ্টিতে সে সময় পার্বত্যাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হন। কাপ্তাই বাঁধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের জমি-জমা, বসতবাড়িসহ সর্বস্ব কাপ্তাই হ্রদের পানির নিচে তলিয়ে যায়। সব হারিয়ে পাহাড়ের বসবাস করেছে হাজার হাজার মানুষ। শুধুমাত্র বিদ্যুতের সুবিধা পাওয়ার আসায়।

কিন্তু তাঁর পরেও বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত ছিল রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন দূর্গম উপজেলা। স্থানীয় জনসাধারণের জীবনযাত্রায় চলে অন্ধকারে। আজ দীর্ঘ বছর পর অবশেষে রাঙামাটি ১০টি উপজেলা জাতীয় গ্রীড লাইনের আওতায় আনা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বরকল উপজেলায় জাতীয় গ্রীড লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর উল্লাসে মেতে উঠে বরকলবাসী।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য এবিএম মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, সদস্য সবির চাকমা, বরকল উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মেনং রাখাইন প্রমূখ।

এসময় বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা যথাযথ ভাবে পূরন করেছে। পার্বত্যাঞ্চলের সকল সেক্টর এ উন্নয়নের যে ধারাবহিকতা তা অব্যাহত রাখা হবে। এ জন্য সকলকে শান্তিপূর্ন পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আজ বরকলবাসী যেমন আলোকিত হয়েছে, তেমনি পাহাড়ের প্রতিটি ঘর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে।

Exit mobile version