parbattanews

‘জানমালের ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে বিজয় অর্জন করেছে ফিলিস্তিনি জনগণ’

গাজা উপত্যকার ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক পাশবিক হামলার সময় ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাশে থাকার জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন হামাসের শীর্ষ নেতা ও পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তিনি গাজায় বর্তমানে চলমান যুদ্ধবিরতিকে হামাসের ‘রাজনৈতিক ও সামরিক’ বিজয় বলে অভিহিত করেছেন।

কাতারের রাজধানী দোহায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন ইসমাইল হানিয়া।

তিনি বলেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা, প্রেসিডেন্ট, সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমাদের প্রতি ‘অকুণ্ঠ সমর্থন’ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিন ইস্যুতে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে হামাস নেতা গাজার জনগণের ওপর ইসরাইলি পাশবিকতার বিবরণ দিয়ে বলেন, দখলদার সেনারা বোমাবর্ষণ করার ক্ষেত্রে গাজার আবাসিক ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল, মসজিদ, গির্জা- কোনোটিই বাদ রাখেনি। যুদ্ধবিরতি প্রশ্নে প্রথমদিকে আমেরিকা ও ইসরাইলের বিরোধিতার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যুদ্ধের সাত সপ্তাহের মাথায় এসে শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কাছে মস্তক অবনত করে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে তেল আবিব ও ওয়াশিংটন।

হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতিকে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ইসরাইলিরা গাজায় হামলা চালিয়ে নিরপরাধ নারী ও শিশুদের হত্যা করা ছাড়া অন্য কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি।

সাক্ষাতে গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিজয়ে হামাস নেতাকে অভিনন্দন জানান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, আল-আকসা তুফান অভিযানের ফলাফল বিশ্ববাসীকে হতভম্ব করে দিয়েছে। আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, গাজা উপত্যকার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি, তিক্ত ও দুর্ভাগ্যজনক হলেও এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনি জাতি যে বিজয় অর্জন করেছে ব্যাপকতা আরো অনেক বেশি। এই বিজয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত ভারসাম্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা ও ইসরাইল যৌথভাবে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চরম আগ্রাসন ও পাশবিকতা চালিয়েও গাজা উপত্যকায় তাদের কোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের বন্দিদের ছাড়িয়ে নিতে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে।

Exit mobile version