parbattanews

জাপানি নিপ্পন কোম্পানি পাচ্ছে মাতারবাড়ি বন্দরের কাজ

মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অংশের ডিজাইন, টেন্ডার অ্যাসিসটেন্স এবং কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ নিপ্পন সিনো কোম্পানি লিমিটেডকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

এসব ক্ষেত্রে পরামর্শ প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে দিতে হবে ২৩৪ কোটি তিন লাখ টাকা।

বুধবার (২২ জুলাই) সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের বাইরে থাকাই এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সভায় নৌ-মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন, ‘মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অংশের ডিজাইন, টেন্ডার অ্যাসিসটেন্স এবং কনস্ট্রাকশন সুপারভিশনের জন্য পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে জাপানের নিপ্পন সিনো কোম্পানি লিমিটেডকে। এতে সরকারের খরচ হবে ২৩৪ কোটি তিন লাখ টাকা। জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার অর্থায়নে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নাসিমা বেগম আরও জানান, সভায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘কক্সবাজার জেলাধীন ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ডারসমূহের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বাঁধ পুনর্নির্মাণ ও প্রতিরক্ষামূলক কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

আগে এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৫৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এখন এক কোটি ৬১ লাখ টাকা বেড়ে এ কাজে ব্যয় দাঁড়াল ১৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

এছাড়া সভায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুাতায়ন বোর্ডের ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি। ২৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব পণ্য সরবরাহের কাজ পেয়েছে বিআরবি ক্যাবলস লিমিটেড।

‘পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে ১৫ লাখ গ্রাহক সংযোগ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একটি প্যাকেজের ক্রয় প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে ক্রয় কমিটি বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।

তিনি বলেন, ১৫৪ লাখ ৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্যাকেজটি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ পেয়েছে একতা পাওয়ার লিমিটেড, ভিকার ইলেকট্রিক্যাল লিমিটেড এবং পাসা ট্রান্সফারমার লিমিটেড।

Exit mobile version