parbattanews

জামায়াত ইসলামেও ভাল লোক আছে : প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা

Jamaat logo-090513-main

স্টাফ রিপোর্টার : 

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পার্বত্য জেলা বান্দরবান আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসন্ন কান্তি তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদল জামায়াত ইসলামেও দেশ প্রেমিক লোক আছে, তাদেরকে দেশের সার্থে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে দেওয়া দরকার। এসময় তিনি সরকার দলীয় প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত করার জন্যে নির্বাচনের দিন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ২৬টি ভোট কেন্দ্রে দখল হয়ে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন। শুক্রবার বান্দরবান শহরের নিউ গুলশান এলাকায় নিজ বাড়িতে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশংকার কথা সাংবাদিকদের জানান।

প্রসন্ন তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বিষয়টি নির্বাচন কমিশন, বান্দরবানের রিটার্নিং অফিসার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে জানানো হলেও ভোট কেন্দ্র দখল রোধে কার্যতঃ তারা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি দাবি করেন, কক্সবাজার জেলার দু’টি আসনে নির্বাচন না হওয়ায় ভোটের দিন সরকারী ইন্ধনে পার্শবর্তী সে সব এলাকা থেকে বহিরাগতরা এসে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়ার পরিকল্পনা সংক্রান্ত প্রামাণ্য সব তথ্য তার কাছে রয়েছে।

তিনি বলেন, বীর বাহাদুর ও দীপংকর তালুকদার বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার ভূমিহীন পাহাড়ী বাঙালীদের ভূমির কোন ব্যবস্থা করেননি। এসব পার্বত্য জেলার খাস ভূমি হতে ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারকে ৫ একর করে বন্দোবস্তি দিতে পারতেন। তিনি নির্বাচনে জিতলে ভূমিহীনদের ভূমি দেওয়ার ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেন।

তবে বান্দরবানের পুলিশ সুপার দেবদাশ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, নির্বাচন চলাকালে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটার আশংকা নেই। জেলার মোট ১৬৩ কেন্দ্রের মধ্যে ১২৬টি ভোট ঝুঁকিপূর্ণ বা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করে সে সব কেন্দ্রে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতায় কারণে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় সভাপতির পদ থেকে প্রসন্ন কান্তিকে বহিস্কার করে। এরপর থেকে তার নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা-কর্মীদের দেখা যাচ্ছে।

Exit mobile version