parbattanews

জাস্টিন ট্রুডো-সোফির ঈর্ষণীয় প্রেম গড়াল বিচ্ছেদে

একরকম হঠাৎ করেই অনেকের কাছে ‘ঈর্ষণীয়’ দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টেনেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (৫১) ও তাঁর স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার (৪৮)।

১৮ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কের পর বুধবার (৩ আগস্ট) বিচ্ছেদের এ ঘোষণা এসেছে। নানা কারণে কানাডার সীমানা পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও জনপ্রিয় ও আলোচিত জাস্টিন ট্রুডোর বিয়ে ভাঙা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। জাস্টিন-সোফি প্রেম, ঘনিষ্ঠতা ও দাম্পত্য নিয়ে আলোচনা কম হয়নি।

অনেকের কাছেই প্রেম ও সুখের মূর্ত প্রতীক ছিলেন তাঁরা। বিচ্ছেদের ঘোষণা দিতেই তাই নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন। জাস্টিন ও সোফির পরিচয়, প্রেম, বিয়ের প্রসঙ্গ উঠে আসছে। আগেও এসব নিয়ে গণমাধ্যমে অনেক প্রতিবেদন হয়েছে।

মিডিয়ার প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, সোফির সঙ্গে জাস্টিনের পরিচয় ছোটবেলায়। সোফি ছিলেন জাস্টিনের ছোট ভাই মিশেল ট্রুডোর সহপাঠী। সে সূত্রে ছোটবেলায় ট্রুডো পরিবারের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন সোফি। তবে জাস্টিনের সঙ্গে সোফির সত্যিকারের জানা-বোঝা হয় উভয়েই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর।

ছোটবেলায় বাইরে খেলতে গিয়েও দুজনের দেখা হতো। তবে সে সময় যে যার মতো খেলার সঙ্গীদের সঙ্গে ব্যস্ত থাকতেন। একসময় পরিবার দুটি দুই জায়গায় চলে যাওয়ায় তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। এরপর ২০০৩ সালে জাস্টিনের সঙ্গে দেখা হয় সোফির। একসঙ্গে একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে অংশ নেন তাঁরা।

কিছুদিন যেতেই জাস্টিনকে ই-মেইল করেন সোফি। তাতে সোফি লেখেন, অনেক দিন পর দেখা হওয়ার বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে তাঁর। তবে সোফির সেই বার্তার কোনো জবাব দেননি জাস্টিন। এরপর সে বছরেরই গ্রীষ্মের শেষের দিকে রাস্তায় দুজনের দেখা হয়ে যায়। তখন জাস্টিনকে এড়িয়ে যেতে চান সোফি। এবার সোফিকে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন জাস্টিন। সোফি জবাবে বলেন, যদি সত্যিই তাঁর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে তিনি যেন সেই ই-মেইলের জবাব দেন।

প্রথমবার দেখা করতে গিয়েই সোফিকে বলেছিলেন জাস্টিন, বাকি জীবন তাঁর সঙ্গেই কাটাতে চান। এমন আবেগময় কথার পর তাঁরা দুজনেই নাকি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। সে ঘটনার মাত্র এক বছরের কিছু পরই সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন জাস্টিন। ২০০৫ সালের ২৮ মে তাঁরা বিয়ে করেন। ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে একে একে আসে তিনটি সন্তান।

রূপকথার মতো সেই প্রেম ও বিয়ের গল্পের ইতি টেনে গত বুধবার ইনস্টাগ্রামে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি গ্রেগোয়ার। ইনস্টাগ্রামে একই ভাষার পোস্টে তাঁরা জানান, দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন আলোচনার পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তবে এত দিনের সম্পর্কের স্বার্থে ঘনিষ্ঠ রয়ে যাবেন।

সূত্র : ডেইলি মেইল

Exit mobile version