জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সবজি ক্ষেতে সন্ত্রাসী তাণ্ডব

fec-image

কক্সবাজারের উখিয়ায় জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা ২০ শতক জমির আলু, শীমসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ক্ষেত উপড়ে ফেলেছে। এ সময় তারা ক্ষেতে তান্ডব চালিয়ে ঘেরা টেংরা ভাঙচুর করে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গয়ালামারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছৈয়দ করিমের স্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ভেলুয়া খাতুন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। সেখানে পালংখালী ইউপির ৮নং ওয়ার্ডের মৃত আবুল হোছনের পুত্র জাহেদ আলম (৫১), ছৈয়দ আলমের পুত্র মো. আনোয়ার (২৫), ছালেহ আহমদের পুত্র মো. আবছার (২২), আব্দুর রহিমের পুত্র জসিম উদ্দিন (২৩)সহ আরও অজ্ঞাত নামা ২৫/২৬ জনকে বিবাদী করা হয়।

অভিযোগ পত্রে বলা হয়, উল্লেখিত লোকজন বেশকিছু দিন ধরে ভেলুয়া খাতুনের বসতভিটার কিছু জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছিল। এর মাঝে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকিও দেয় তারা। অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত লোকজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নিকট সালিশ দায়ের করলেও সেগুলো উপেক্ষা করে উল্টো ভুক্তভোগী ভেলুয়ার খাতুনের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়।

অভিযোগ পত্র বলা হয়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) আনুমানিক দুপুর ১২টায় ২৫/২৬ জন অজ্ঞাত লোক ধারালো দা, কোদাল, লাঠি, লোহার রডসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক ভুক্তভোগী ভেলুয়া খাতুনের ২০ শতক জমির আলু, শীমসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ক্ষেত উপড়ে ঘেরা টেংরা ভাঙচুর করে এবং আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। এতে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয় বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

এ সময় বাড়ির পাশে থাকা ভেলুয়া খাতুনের ছেলে মো. রিদুয়ান (১৮)কে সন্ত্রাসীরা বেধড়ক মারধর করে তার মুদির দোকানে হামলা চালিয়ে ৪৭ হাজার টাকা নিয়ে ফেলে। আরেক ছেলে রেজাউল করিম (২৩) উক্ত ঘটনা ভিডিও করতে চাইলে দুর্বৃত্তরা তার উপরেও একযোগে হামলা চালায় এবং তার ব্যবহৃত ২৭ হাজার ৫শত টাকা মূল্যের একটি স্মার্টফোন নিয়ে ফেলে। তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করলে ভেলুয়া খাতুন ও তার এক মেয়েকে বিবস্ত্র ও শ্লীলতাহানি করে সন্ত্রাসীরা। ব্যপক মারধরের পর দুর্বৃত্তরা মামলা-হামলা করে জমি দখল করবে বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে আহতদের পার্শ্ববর্তী এমএমএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, একজন উপপরিদর্শককে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানানো হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন